জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রেফতারের একদিন না পেরোতেই সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় দেশের পরিচিতমুখ টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুনের। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন মামুনের আইনজীবী লিজা।
মামুনের আইনজীবী লিজা বলেন, কিছুদিন আগে মামুনের নামে মামলা করা হয়। সে মামলায় সেরেন্ডার করিয়ে মামুনের জামিন করিয়েছি। কিছুদিন না পেরোতেই আবারও নতুন করে মামলা দায়ের করা হয় মামুনের বিরুদ্ধে। আর সে মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছেন মামুন।
আইনজীবী লিজা আরও বলেন, কোনো এফআইআর হলে তদন্ত করার পর অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মামুনের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। গ্রেফতার করার পর তদন্তের জন্য রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে।
রিমান্ড প্রসঙ্গে আইনজীবী লিজা বলেন, আদালতে একের পর এক মামলা উঠছে মামুনের। অথচ আদালতে মামলা উঠাটা সময়ের ব্যাপার, আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। আর সাত দিনের রিমান্ড প্রসঙ্গে আমি বলব, এখানে ওপর মহলের হাত রয়েছে। কাউকে ম্যানেজ করেই একের পর এক থানায় মামলা করা হয়েছে আর স্বার্থান্বেষী মহলের জোরেই মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত আদালতেও উঠছে।
সোমবার (১০ জুন) রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফারহাদের দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হন মামুন। এর আগেও মামুনের বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা করেছেন তিনি।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় আমরা দাউদকান্দি টোল প্লাজায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি টিম আসলে আমরা মামুনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা জানিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।
অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধ র্ষ ণ করে। পরবর্তীসময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।