Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home সাত বছরে ৬৬ অপারেশন তরুণীর
    আন্তর্জাতিক

    সাত বছরে ৬৬ অপারেশন তরুণীর

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কSeptember 10, 20205 Mins Read
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শার্লট এভান্সের বয়স এখন ১৯ বছর। এরই মধ্যে তার ৬৬ বার অপারেশন হয়েছে। যার প্রথমটা হয়েছিল ৭ বছর আগে। একবার এমন অবস্থা হয়েছিল যে, তার একটি পা কেটে ফেলার উপক্রম হয়।

    বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এভান্সের বয়স যখন ১২ তখন হঠাৎ করেই তার শরীরের কোন কোন অংশ ফুলে যেতে শুরু করে। আর এই ফোলা ভাব থাকে মাসের পর মাস। এর সূত্রে তাকে যেতে হলো বিরল ও কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।

    বিষয়টি শার্লট এভান্স বর্ণনা করেন এভাবে— “ছোটকালে আমার কোন সমস্যাই ছিল না। আমি নাচতে ভালোবাসি। প্রায় প্রতিদিনই আমি নাচতাম। থিয়েটারেও নাচের অনুষ্ঠান করতাম। তারপর হঠাৎ করেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।

       

    একদিন নিতম্বে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ঘুম ভেঙে যায়। নিতম্বে ভেতরের এক জায়গায় বিচির মতো কিছু একটা অনুভব করি। ব্যথা বাড়তে থাকলে হাসপাতালে যাই। সেখানে একসময় টের পাই আমার সব আঙুল ঠান্ডা হয়ে আসছে। ডাক্তাররা এটা দেখে বলে আমার ‘কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম’ হয়েছে। এ সম্পর্কে ডাক্তাররা জানেন এবং সাধারণত শরীরে ব্যথা পেলে এটা হয়। কিন্তু আমার কেন এটা হচ্ছে সে ব্যাপারে তারা কোন কারণ দেখাতে পারেননি।

    হাত ও পায়ের মাংসপেশিগুলো বিশেষ এক জায়গায় ফ্যাসিয়া নামের একধরনের কোষ দিয়ে আটকানো থাকে। এই জায়গাগুলোকে বলে কম্পার্টমেন্ট।

    কোন কারণে এই কম্পার্টমেন্টের ওপর চাপ বেড়ে গেলে ‘অ্যাকিউট কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম’ দেখা দেয়।

    হাসপাতালে ফ্যাসিওটমির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়। মূলত জায়গাটিতে কেটে ফুটো করে চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা হয়।

    এই পর্যায়ে আমার শরীরে প্রথমবার অপারেশন করা হয়। তারা আমার মাংসপেশিতে কেটে ফুটো করে। এবং কয়েক দিন ধরে সেই ফুটো খুলে রাখা হয়। এরপর চাপ কমে গেল সেই কাটা জায়গা জুড়ে দেওয়া হয়। অপারেশনের পর থেকে আমার সমস্যাও বাড়তে থাকে।

    একবার আমাকে একটানা সাত মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। এ সময় আমার মা অসাধ্যসাধন করেছেন। তিনি টানা সাত মাস হাসপাতালের চেয়ারে রাতে ঘুমিয়েছেন।

    হাসপাতালের শিশু বিভাগে যে সময়টুকু ছিলাম তখন মনে হতো ডাক্তাররা আমার জন্য তেমন কিছু একটা করছেন না। এরপর তারা আমাকে বলতে থাকলেন আমার আসলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তখনো আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গা বারবার করে ফুলে উঠছিল।

    আমাকে দ্রুত বেড়ে উঠছিলাম। আমার বয়সীদের সঙ্গে মেলামেশায় অসুবিধে হচ্ছিল। আমার অভিজ্ঞতাও ছিল কম। আমার বয়সের টিনএজাররা যা কিছু করে আমি তার কিছুই করিনি। শেষপর্যন্ত আমাকে যখন হাসপাতালে বড়দের ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হলো তখন পরিস্থিতির কিছুটা বদল ঘটলো। এর কারণ, ডাক্তাররা আমাকে নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা চালানোর সুযোগ পেলেন।

    স্কুলের ক্লাসে আমার উপস্থিতির হার ছিল ৪০ শতাংশ। আমার হাইস্কুল ফাইনাল পরীক্ষা আমি দিয়েছিলাম হাসপাতালের বেডে বসে। দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম পরীক্ষাটি হয় আমার অপারেশনের ঠিক পর পর। মনে আছে, বেদনানাশক ওষুধ মরফিন পাম্প করতে করতে আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এখন মনে হয় এতে আমার ভালোই হয়েছিল। মরফিনের ফলে আমার পরীক্ষা নিয়ে কোন মানসিক চাপ ছিল না, এবং সবগুলো বিষয়ে ভালো ফল নিয়ে পাশ করেছিলাম।

    ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আমার পা আবার ফুলে যায়। নিয়মিত চিকিৎসার জন্য আমি আবার হাসপাতালে ভর্তি হই। একদিন একজন ডাক্তার আমার বেডের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলেন আমি কেমন আছি। উত্তরে আমি চাদর সরিয়ে বললাম, ‘আমার পায়ের অবস্থা এ রকম। পায়ে কোন পালস্ নেই।’

    দেখে ওই ডাক্তার বললেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার পায়ের রং কালো হয়ে গেছে। তাই পা‌ কেটে ফেলতে হবে।

    এরপর আমাকে অজ্ঞান করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি ভেবেছিলাম জ্ঞান ফেরার পর আমি আর পা দেখতে পাবো না। কিন্তু জ্ঞান ফিরে দেখি পা তার জায়গাতেই আছে। আমি তো খুব খুশি।

    ডাক্তাররা আমাকে বলল, পায়ের পালস্ ফিরে এসেছিল বলে তারা আর অ্যামপিউট করেনি। আর এক ঘণ্টা দেরি হলো পা কেটেই ফেলতে হতো।

    প্রতিবার অপারেশনের পর আমার শরীরে কাটা দাগের সংখ্যা বাড়তে থাকে। লোক মনে করে আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে আমি নিজেই নিজের দেহ কেটে ফেলি। কিছুদিন আগে হাসপাতালের লিফটে এক লোক আমাকে বলে আমি স্বার্থপরের মতো আচরণ করছি। করোনাভাইরাসে যখন লোকে মারা যাচ্ছে তখন আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করছি।

    তবে আমার প্রতি ঘৃণা আগেও দেখানো হয়েছে। আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে মনে করে ইউনিভার্সিটিতে সহপাঠীরা আমার সঙ্গে কথা বলতো না। এসব কথা শুনে আমারই এত খারাপ রাগে! তাহলে ভাবুন যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে তাদের কাছে কথাগুলো কত খারাপ লাগতে পারে? মানসিক সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলা যে কত কঠিন তা এ থেকেই বোঝা যায়।

    এ বছর মোট আটবার আমার শরীরের কোন না কোন অংশ ফুলে গিয়েছিল। একই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাও বাড়ছে। বয়স কম থাকলে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতো। এখন সময় বেশি লাগে।

    এখন আমার নতুন চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এই প্রথম নতুন ওষুধে কিছু ফল হচ্ছে। ফুলে যাওয়ার ঘটনাও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কিন্তু আমার সমস্যাটা ঠিক কোথায় তা ডাক্তাররা এখনো ধরতে পারছেন না। এই ওষুধ কেন এবং কীভাবে কাজ করছে তারা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে পারছেন না।

    আমি যতটুকু জানি তারা সারা দুনিয়া তন্ন তন্ন করে আমার মতো আরেকটি রোগী খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা পাননি। তারা অন্য চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বিবেচনা করেছেন। কিন্তু সমস্যার মূল কারণ যখন জানা যায় না, তখন সঠিক চিকিৎসা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

    এখন আমার সমস্যা শুরু হলে আমি বাসাতেই থাকি। তা না হলে আমাকে সারা জীবন হাসপাতালেই কাটাতে হবে। পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলে বা অপারেশন করার প্রয়োজন না হলে হাসপাতালে যাই না। বাসায় নড়াচড়া করার ব্যাপারে মা আমাকে সাহায্য করেন।

    একটু একটু করে আমি বুঝতে পেরেছি যে দুনিয়ায় অনেক মানুষ আছে যাদের রোগের কারণ জানা যায় না। এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। কারণ এই সমস্যার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে। অনেক সময় আমার সমস্যার কথা ডাক্তাররা বিশ্বাসও করতে চান না। তখন রাগ লাগলেও সেটা দমন করতে হয়, নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। সেটা না করা হলে তারা হয়তো বলবেন আমার মানসিক চাপই এই রোগের কারণ।

    আমার আরেকটা দুঃখ নাচতে না পারা। আমি থিয়েটারে অভিনয় করতাম, গান করতাম, নাচ করতাম। এখন আবার নাচের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছি। কিন্তু ভয় আমার কাটে না। কী জানি, যদি আবার সমস্যা শুরু হয়! তাই খুব একটা ভরসা হয় না। কিন্তু তারপরও আমি আশায় বুক বেধে রাখি,  হয়তো একদিন আমি সেরে উঠবো।”

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি

    ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

    September 22, 2025
    আবেদন বাতিল

    চলতি বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৮০% ভিসা আবেদন বাতিল করেছে কানাডা

    September 21, 2025
    মালয়েশিয়া

    বিদেশি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নতুন নিয়ম চালু করল মালয়েশিয়া

    September 21, 2025
    সর্বশেষ খবর
    iPhone 17 Pro Max ব্যাটারি লাইফ

    আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের ব্যাটারি: গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রাকে পেছনে ফেলে ১৩ ঘণ্টা

    প্রশিক্ষণ ভাতা

    সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ল, কোন গ্রেডে কত

    ভাঁজযোগ্য আইফোন

    Apple-এর ফোল্ডেবল iPhone: দুই iPhone Air-এর ডিজাইন, দাম ২ হাজার ডলার

    স্মার্টফোন মাইক্রোফোন

    মোবাইল ফোনের চার্জিং পোর্টের পাশের ছোট ছিদ্রের কাজ

    আইফোন ১৭

    আইফোন ১৭: সিরিয়াস গেমার্সের জন্য বিশেষ গেমিং ফিচার?

    Charlie Kirk murder Discord confession

    Why Charlie Kirk Did Not Have an Exit Wound After Fatal Shooting

    ধনী হওয়ার লক্ষন

    শরীরের কোন স্থানে তিল থাকলে ধনী হওয়ার লক্ষন

    গুগল ক্রোম ফিচার

    অ্যান্ড্রয়েড ক্রোমের ৪ গোপন ফিচার প্রকাশ

    Jayden Daniels injury update

    Jayden Daniels Injury Update: Is the Commanders QB Playing in Week 4 vs Falcons?

    বিশ্বরেকর্ডে মোস্তাফিজ

    বিশ্বরেকর্ডের আরও কাছে মোস্তাফিজ, সামনে আছে যে ৩ জন

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.