জুমবাংলা ডেস্ক: বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রাবার চাষের মাধ্যমে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অর্থনীতির চিত্র ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার একর পাহাড়ি জমিতে রাবারের চাষ হয়। বছরে রাবার উৎপাদন হয় প্রায় ২৯ হাজার টন। আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক বদরুল ইসলাম মাসুদ-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
এসব রাবারবাগানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৮ হাজারের মতো শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। এসব বাগান থেকে রাবার বিক্রি বাবদ বছরে আয় হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। নাইক্ষ্যংছড়িসহ পাহাড়ের অন্য উপজেলায়ও রাবার চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় রাবারকে ‘সাদা সোনা’ বলা হয়ে থাকে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাবার চাষের জন্য ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তিকে ২৫ একর করে ৪০ বছর মেয়াদি প্লট লিজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার একর ভূমিতে রাবারের চাষ হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মোট ৪৫ হাজার ২৩০ একর বনভূমির মধ্যে ১৩টি মৌজায় ৪৩১ জন মালিক প্রায় ১৫ হাজার একর পাহাড়ি এলাকায় রাবারবাগান গড়ে তুলেছেন। জেলা প্রশাসকের লিজের বাইরেও উপজেলায় ব্যক্তিমালিকানায় আরও প্রায় ৬ হাজার একর পাহাড়ি এলাকায় রাবারের চাষ চলছে।
রাবার-শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, চারা লাগানোর ৭ বছর পরই রাবার উৎপাদন শুরু করা যায়। প্রতিটি গাছ উৎপাদনের প্রথম থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট হারে রাবার উৎপাদন হয়। একটি গাছ থেকে গড়ে বার্ষিক ৩৫ কেজি ল্যাটেক্স (তরল সাদা কষ) পাওয়া যায়। প্রতি কেজি ‘গ্রেড-১’ রাবার ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। প্রথমে নতুন কোনো রাবারবাগান করতে উচ্চফলনশীল জাতের ১১ কিংবা ২১ মাস পদ্ধতির নার্সারি তৈরি করতে হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ির সবচেয়ে বড় রাবারবাগান শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফোর এইচ গ্রুপের মালিকানাধীন ডিভাইন রাবার এস্টেট। এ ছাড়া পিএইচপি গ্রুপের মালিকানাধীন ৮০০ একর ও নাজমা খাতুন রাবার এস্টেটের মালিকানাধীন ৮০০ একর বাগান রয়েছে। নাজমা খাতুন রাবার এস্টেটের ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন বলেন, একটি গাছ থেকে এক দিন পরপর কষ আহরণ করতে হয়। এক দিনে একটি গাছ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম থেকে ৩৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কষ পাওয়া যায়।
এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরিফ রাবার এস্টেটের মালিক মো. আলাউদ্দিন বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির রাবারশিল্প বর্তমানে কিছুটা হুমকির মুখে। বিদেশ থেকে রাবার আমদানি কমানো গেলে দেশীয় রাবারশিল্প রক্ষা পাবে। তা করা না গেলে দেশীয় রাবারশিল্প অচিরেই ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
চাকরির পেছনে না ছুটে ড্রাগন চাষে সফল নীলফামারীর কাজল, বাৎসরিক আয় ১০ লাখ টাকা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।