জুমবাংলা ডেস্ক: স্টক এক্সচেঞ্জ ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রো-রাটার ভিত্তিতে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মোট ৬.১৬ গুন বেশি আবেদন জমা পড়ে। প্রতি ১০,০০০ টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগন ৪৫ টি শেয়ার এবং অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগন ১৮৮ টি শেয়ার বরাদ্দ পায়।
রবিবার (২ অক্টোবর) ডিএসই টাওয়ারে অবস্থিত লিষ্টিং হলরুমে শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার, সিএফও এ জি এম সাত্বিক আহমেদ শাহ, সিআরও (ইনচার্জ) বজলুর রহমান, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিএফও আবু হুরাইরা, কোম্পানি সচিব জয়নুল আবেদীনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ডিএসই’র লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের হেড মো. রবিউল ইসলাম এবং এমআইএস ও ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের হেড মো. আবদুল কাদের খন্দকার প্রো-রাটার ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ করেন।
নাভানা ফার্মার শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হওয়ার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯ সেপ্টেম্বর।
সাধারণ বিনিয়োগকারী অর্থাৎ দেশি বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৭০০টি শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারী ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৮টি আবেদন জমা পড়ে। যার শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৭০ লাখ ২৬ হাজার ৪৮টি। তাতে টাকার অংকে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫৩ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
অপরদিকে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব থেকে আবেদন করা হয়েছে ৬ হাজার ১১৯টি। যার শেয়ার সংখ্যা ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০৪টি। টাকার অংকে যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
প্রাতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং যোগ্য বিনিয়োগকারীসহ মোট ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯২১টি শেয়ারে আবেদনের বিপরীতে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ২৩ হাজার ৬৮৯টি শেয়ার কেনার আবেদন জমা পড়েছে। যা বরাদ্দের চেয়ে ৬ দশমিক ১৫ গুণ বেশি। বরাদ্দ ছিল ২ কোটি ৭১ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৪টি শেয়ার। যা টাকার অংকে ছিল ৭৫ কোটি টাকা। সেই টাকার শেয়ারের জন্য ৪৬১ কোটি ৪৫ লাখ ১ হাজার ২৫৮ টাকার জমা পড়েছে।
এর আগে গত ৪ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়ে আইপিওর বিডিংয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে। তারা কোম্পানির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা নির্ধারণ করে।
নিয়ম অনুসারে, সেই কাট-অফ প্রাইসের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ টাকা।
চলতি বছর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। এই টাকা কোম্পানিটি নতুন ভবন নির্মাণ, ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর ব্যয় বাবদ খরচ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।