জুমবাংলা ডেস্ক: সাধারণ মানুষ এবার দুঃখ-কষ্টে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারের ঈদ আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর। একদিকে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে শরিক হতে পারেননি। অন্যদিকে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধিতে এই ঈদের আনন্দকে উপভোগ করার জন্য সাধারণ মানুষের যে ন্যূনতম সামগ্রী কেনা দরকার, তারা সেটা কিনতে পারেননি। দুঃখ-কষ্টে দিন কাটছে তাদের। এমনকি এবারের ঈদের বাজারও কিন্তু কোনো রকম জমে উঠতে পারেনি। কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার মিথ্যা প্রচারণার মধ্য দিয়ে, মানুষকে ভুল বোঝানোর মধ্য দিয়ে বোঝাতে চায়, দেশ খুব ভালো আছে, অর্থনীতি ভালো আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে আজ একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে অর্থনৈতিক চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটের কারণে দেশ অতিদ্রুত ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। মিথ্যা কথা বলে, প্রচারণা করে এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’
মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশকে মুক্ত করতে মানুষকে জেগে উঠতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে এনেছে। এবারও তারা সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।’
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী—জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একমাত্র উত্তরণের পথ হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক আছে, যাদের জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকবে, জনগণের প্রতি ভালোবাসা থাকবে সেই ধরনের সরকার গঠন করতে হবে।’
এর আগে বেলা ১১টায় মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
এ সময় বিএনপির হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, আবদুল বারী ড্যানী, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, আবু সাঈদ, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহানগরের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় এবং মহানগরসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, খালেদা জিয়া যখন মুক্ত ছিলেন, তখন প্রতি বছর ঈদের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।