নিজস্ব প্রতিবেদক: মাস্ক ব্যবহার করলে করোনাভাইরাসসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক বৈজ্ঞানিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা মাস্ক ব্যবহারের অর্থনৈতিক সুবিধার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক বলেছেন যে, একজন মাস্ক ব্যবহার করলে তার অর্থনৈতিক উপকার হয় ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার ইউএস ডলার। কারণ মাস্ক ব্যবহার করলেই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। রোগ প্রতিরোধের ফলে আক্রান্ত না হওয়ায় এতগুলো অর্থ সাশ্রয় করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক বৈজ্ঞানিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত। ঘরে তৈরি মাস্ক আমরা ব্যবহার করতে পারি। ঘরের পুরনো কাপড় দিয়েও তিন স্তর বিশিষ্ট মাস্ক তৈরি করে পরা যায়। এক্ষেত্রে বলা যায়, এক টাকা মাস্কের পেছনে খরচ করলে আমরা ১ হাজার টাকার উপকার পাবো। কারণ এই মাস্ক ব্যবহার করে আমি আমার রোগ প্রতিরোধ করতে পারবো।’
ডা. নাসিমা আরও বলেন, ‘এখনও দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষের চায়ের দোকানে, যেকোনো আড্ডায় অনেকেই মাস্ক পরিধান করছেন না। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মাস্ক একটি প্রধান অস্ত্র। আমরা কখনোই এটিকে অবহেলা করতে পারি না। এটি একটি প্রধানতম নিয়ামক এই সংক্রমণকে প্রতিরোধ করার। তার সাথে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা, ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, তা না পারলে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এমন পরামর্শ দেওয়ার পরেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই সাধারণ মাস্ক ব্যবহার না করে অসাধারণ কিছু মাস্কে তারা ভরসা রাখতে চাইছেন। অক্সিজেন ফিল্টার হয় এমন মাস্কও কিনছেন অনেকে। রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা একজন স্বজনকে পাওয়া গেল এরকমই একটি মাস্ক পরা অবস্থায়।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রামের বাড়ি বরিশালে। থাকেন ঢাকায়। নিজেকে করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তিনি মাস্কটি ৫০০০ টাকায় কিনেছেন ঢাকার বিএমএ ভবন থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।