নওগাঁ প্রতিনিধি: দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাতদিন কাজ করতে গিয়ে কখন যে নিজের শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছে জানতেন না নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী।
শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ ছিল না। গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব করলে গত মাসের ২৩ তারিখে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দেন তিনি। টেস্ট রিপোর্টে আজ তাঁর পজেটিভ এসেছে। এতে হতবাক হওয়ার পাশাপাশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মানবদরদী এই ইউএনও।
তিনি আজ জুমবাংলাকে জানান, ‘তেমন কোনো উপসর্গ নেই আমার। শুধু হালকা গলাব্যথা আছে। শারীরিক ও মানসিকভাবেও সুস্থ আছি। তবে চিন্তা হচ্ছে এই ৯ দিনে অফিস এবং পরিবারের সদস্যসহ যাদের সংস্পর্শে এসেছি তাদের জন্য। রিপোর্টটা একদিন কিংবা দুই দিনের মধ্যে পেলে এত চিন্তা করতাম না।’
কল্যাণ চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু শরীরে তেমন উপসর্গ ছিল না সেহেতু এই দুঃসময়ে অফিসের কাজ বন্ধ রেখে নিজেকে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও আমার জন্য কঠিন ছিল। এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু প্রার্থনা করছি যেন আমার মাধ্যমে কেউ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত না হয়।’
তিনি আরও বলেন, যাদের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন তাদের সবার করোনা পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে সাপাহার উপজেলায় কর্মহীন দুস্থ ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে সরকারি খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী নিজেই পৌঁছে দিয়ে সর্বমহল থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও কল্যাণ চৌধুরী। এছাড়া, সাপাহার উপজেলার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে নিজেই মাইক হাতে নিয়ে নেমে পড়েছিলেন রাস্তায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।