১৯৭৬ সালে ন্যাশনাল ন্যাচারাল টক্সিন্স রিসার্চ সেন্টারের এক ছাত্র সাপদের খাবার দিতে গিয়ে সাপের খাচায় ছেড়ে দেয় উডর্যাটকে। সে ভেবেছিল, আর দশটা রোডেন্টের মতোই তার পরিণতিও একই হবে- মৃত্যু। কিন্তু অবাক হয়ে সে লক্ষ্য করে, দিব্যি বেঁচে আছে রোডেন্ট গোত্রের এই ছোট্ট উডর্যাট। দেখা যায়, উডর্যাটের সিরামে রয়েছে এন্টিবডি, যা এন্টিভেনম হিসেবে কাজ করে।
বেজির মতো দেখতে প্রাণীটি সাপ শিকারীও বটে। সচরাচর ফলমূল খেয়ে বেঁচে থাকলেও মাঝেমধ্যেই বড় শিকারের আশায় ইঁদুর, সাপ তাড়া করে বেড়ায়। এদের রক্তে যেমন এন্টিভেনম রয়েছে, তেমনই শক্ত চামড়াও তাদের বাড়তি সুবিধা প্রদান করে।
শজারু বা কাটাচুয়ার কাঁটা শিকারী সাপকে ধরাশায়ী করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শজারুর রয়েছে Erinacine নামে প্রোটিন, যা এন্টিভেনম হিসেবে অল্প পরিমাণ ভেনম নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।
সাপের শত্রু বলে বিবেচিত এই প্রাণীর রিসেপ্টর প্রোটিন হিসেবে কিছু গ্লাইকোপ্রোটিন থাকে যা অন্য স্তন্যপায়ীদের মতো নয়। যেখানে অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর রিসেপ্টর প্রোটিন নিউরোটক্সিনের সংস্পর্শে আসে, সেখানে নেউলের মিউটেটেড (পরিবর্তিত) রিসেপ্টর প্রোটিন নিউরোটক্সিনকে কোষের সংস্পর্শে আসতে দেয় না। অনেকটা এমন প্রতিরক্ষা দেখা যায় গৃহপালিত শূকরের মাঝেও, যা তাদের নিউরোটক্সিক সাপের বিষ থেকে ইমিউনিটি প্রদান করে।
একটি প্রাণী মূলত তিনভাবে সাপের বিষের ক্ষতিকর প্রভাব টেক্কা দিতে পারে। প্রথমত আসি, এন্টিভেনম ব্লাড প্রসংগে, যাকে মূলত বলা হয় এন্টিভেনিন। এন্টিভেনিন শব্দটির প্রবক্তা একজন ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট কালমেট, যিনি একটি খরগোশের উপর পরীক্ষা করেন।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গে বলা যায় সেল মিউটেশনের কথা। কিছু প্রাণী, উদাহরণস্বরূপ- নেউল, তাদের এসিটাইলকোলিন রিসেপ্টর প্রোটিন অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের মতো নয়। বরং সেটি কিছুটা পরিবর্তিত। যার ফলে ভেনোম কোষে ধাক্কা খেয়ে অন্যত্র সরে যায়।
তৃতীয়ত, শক্ত চামড়ার কারণে প্রতিরক্ষার কথাও বলা যায়। কিছু প্রাণীর রয়েছে খুব দৃঢ় চামড়া, যার কারণ সাপের বিষদাঁত সেই চামড়া ভেদ করতে পারে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।