নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গত ৭ জানুয়ারি ও ৮ জানুয়ারি এই ৪টি ছানা ফুটেছে। ইনকিউবেটরে উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পর এ নিয়ে পার্কে আনন্দে হইচই পড়ে যায়। এসব ছানা এখনো সুস্থ রয়েছে বলেও জানান পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান।
তবে বর্তমানে ভালো আছে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া উটপাখির ৪ ছানা। আরো কিছু ডিম ইনকিউবেটরে রাখা আছে। আরো ছানা ফুটবে বলে আশা করছেন তিনি।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩ সালে দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পশুপাখি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে ৬টি উটপাখি আমদানি করা হয়। পার্কের দক্ষিণ পশ্চিম পাশের ইমু পাখির পাশের বেষ্টনীতে রাখা হয়। কিছু দিন পর থেকেই উটপাখি নিয়মিত ডিম পাড়তে থাকে। পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রাকৃতিকভাবে উটপাখির একটি বাচ্চা ফোটে। এর পরের বছরই আরো দুটি বাচ্চা ফোটে।
কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম পাড়লেও বাচ্চা ফুটছিল না। তবে এবার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিশেষ চিন্তা ভাবনা থেকেই ইনকিউবেটরে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করেন। এর আগে ইনকিউবেটরে ময়ূরের বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল। সে সূত্র ধরেই উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোয় সাফল্য এলো।
ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান জানান, সমতলে বসবাস করা পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো উটপাখি। এ পাখি ক্যাভটিবে (আবদ্ধস্থান) ৬০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। অপরদিকে ন্যাচারে (প্রকৃতিতে) ৪০-৪৫ বছর বাঁচে। এদের ওজন প্রায় ৬৩ কেজি থেকে ১৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এভারেজ পুরুষের ওজন ১১৫ কেজি ও নারীর ওজন ১০০ কেজি হয়। উটপাখি লম্বা পায়ে ঘন্টায় ৭০ কিমি গতিতে দৌঁড়াতে পারে।
উটপাখির ছানাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সমির সুর চৌধুরী জানান, নিয়মিত ঘরের তাপমাত্রা মাপা হয়। কলমি শাক, বাধা কপি কুচি ও স্টাটার ফিড খেতে দেওয়া হয় বাচ্চাদের।
অপর ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, পৃথিবীতে আকারে সবচেয়ে বড় পাখি হচ্ছে উটপাখি। এদের ডিমও আকারে সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। পুরুষ পাখির শরীর কালো রঙ আর লেজ সাদা রঙের। অপর দিকে নারী উটপাখির সারা শরীরই ধূসর রঙের। বালুময় মরু অঞ্চলে এদের বেশি বিচরণ। সাহারা মরুভূমির উত্তর ও দক্ষিণে এবং পূর্ব আফ্রিকায় বেশি উটপাখির বসবাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।