গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো ভালুক শাবকের জন্ম হয়েছে। গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) শাবকটির জন্ম হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ খবর সবাইকে জানান। একই পার্কে সিংহের পরিবারেও এসেছে নতুন শাবক।
এদিকে প্রথমবারের মতো ভালুক পরিবারে নতুন শাবক জন্ম নেয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ভালুক ঘিরে নতুন সম্ভাবনা দেখছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, গত শনিবার কোর সাফারির আফ্রিকান ভালুকের বেষ্টনীর গর্তে বাচ্চার শব্দ শোনা যায়। পরে দেখা যায় গর্তের মধ্যে একটি মা ভালুক বাচ্চা নিয়ে বসে আছে। এরপর থেকেই পার্কের কর্মকর্তারা গর্তের মধ্যেই মা ভালুককে খাবার দিচ্ছেন। মা ভালুকেরা বাচ্চার প্রতি খুব বেশি সতর্ক থাকে ও হিংস্ররতা দেখায়। তাই গর্তের ভেতর অবস্থান করা ভালুকের কয়টি বাচ্চা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাছাড়া তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাছে যাওয়া হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চার সংখ্যা জানতে চেষ্টা করা হবে। ভালুকেরা সাধারণত একসঙ্গে এক থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। ভালুকের পালে প্রথমবারের মতো বাচ্চার জন্ম হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
তিনি জানান, সিংহ পরিবারেও নতুন অতিথির আগমণ হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে সিংহের বেষ্টনীতে একটি সিংহীকে বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। সিংহ শাবকের জন্মের সময় সাধারণত চোখ ফোটে না। এজন্য ৩ থেকে ১১দিন সময় লাগে। নতুন জন্ম নেয়া শাবকটির চোখ ফুটেছে, দেখে মনে হয়েছে বয়স অন্তত ১৫ দিন। জন্মের সময় এদের ওজন ১-৫কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় সিংহী শাবককে জঙ্গলের আড়ালে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে। সেখানে অন্য সঙ্গীদের পর্যন্ত যেতে দেয় না।
তিনি আরও জানান, শাবকরা ১০-১৫দিনে হাঁটতে শেখে। ৪-৫মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারও খাওয়া শেখানো হয়। এরা প্রায় বছর দুয়েক পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকে। প্রধান খাদ্য গো মাংস। এছাড়া প্রতি শুক্রবার জ্যান্ত খরগোশ দেয়া হয়। সদ্য জন্ম নেয়া ভালুক ও সিংহ শাবকের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে পার্কে সিংহের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টিতে। তবে নতুন শাবকটি পুরুষ না মাদী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত সাফারি পার্কে ১১টি সিংহ শাবকের জন্ম হয়েছে। তবে বিভিন্ন ধাপে সেখান থেকে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ৪টি সিংহ সরবরাহ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।