লাইফস্টাইল ডেস্ক : মেদ-ভুঁড়ি নিয়ে বিপাকে আছেন অনেকেই। বাড়তি ওজন কমাতে রীতিমত যুদ্ধ করছেন এমন মানুষ হরহামেশাই দেখা যায়। অনেক চেষ্টা করেও বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে না পারার অন্যতম কারণ হল- বেশি ক্যালরিযুক্ত কোমল পানীয়। তাই মেদ-ভুঁড়ি এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই কোমলপানীয়কে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠান কিংবা আড্ডায়, এমনকি শখের বশেও চুমুক দেয়া যাবে না কোমল পানীয়ের লোভনীয় গ্লাসে। আসুন জেনে নিই, কোমলপানীয়ের কী কী উপাদান আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়। ক্যালরি: এক গ্লাস কোমল পানীয়তে থাকে ২০০ শতাংশ ক্যালরি। এ ছাড়া মেশিন থেকে বড় কাপ ভরে ‘ফাউন্টেইন’ পানীয়তে মিলতে পারে ৪০০ শতাংশ ক্যালরি। যা আপনার এক সপ্তাহের কমানো ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে ১ দিনেই। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরণের কোমল পানীয়কে।
সুগার: গবেষকরা বলছেন, মাঝারি সাইজের এক বোতল কিংবা এক ক্যান কোমল পানীয়তে অন্তত ১০ চামচের মত সুগার থাকে। অথচ একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক ৬ চামচ চিনিই যথেষ্ট। এর বেশি পরিমাণ চিনি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এসিডিটি: কোমল পানীয়ের উচ্চমাত্রার এসিডিটি এবং অতিরিক্ত সুগার মেদ ও ডায়াবেটিকের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি দাঁতের এনামেলের ভয়াবহ রকম ক্ষতি করে থাকে। এতে করে দাঁতে ক্যাভিটি বেড়ে যায় অনেক বেশি। নিয়মিত কোমল পানীয় পান করাকে দাঁতের ক্ষয় ও মুখের নানান রোগের উৎস মনে করেন চিকিৎসকরা।
ক্যাফে*ইন: কোমল পানীয়তে থাকে উচ্চমাত্রার ক্যাফে*ইন। মানবস্বাস্থ্যের জন্য যা ভয়াবহ ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। ক্যাফেইনের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। আর ঘুমের সমস্যা ওজন বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যাফে*ইনের কারণে মানসিক অবসাদ, হতাশা এমনকি আ*ত্মহ*ত্যার প্রবণতাও সৃষ্টি হতে পারে মানুষের মনে।
তাই ওজন কমাতে এবং সুস্থ থাকতে আজই ছেড়ে দিন সব ধরনের কোমল পানীয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।