সাবমেরিন বৈদ্যুতিক তার সমুদ্রের তলদেশে সেট করা হয়। এর মাধ্যমে দ্বীপ এবং দূরবর্তী স্থানে বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করা সম্ভব হয়। টেলিযোগাযোগের জন্য এগুলি ব্যবহার করা হয়। সাবমেরিন তারের জন্য উচ্চমানের শক্তি এবং পদার্থের দরকার হয় যেন তা সমুদ্রের প্রতিকূল পরিবেশের সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকতে পারে।
সাবমেরিন ক্যাবলের তার এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন পানির লবণাক্ততা, সমুদ্রের পানির চাপ ও তাপমাত্রা সহ্য করে টিকে থাকতে পারে। পাশাপাশি এটি যেনো দীর্ঘদিন পর্যন্ত টেকসই হতে পারে। এ কারণে সাবমেরিন ক্যাবল এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
তারের উপকরণের ব্যয় এর বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। এসব তার উচ্চমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। এসব উপকরণের মধ্যে রয়েছে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, রাবার, ইস্পাত ইত্যাদি। এটির উৎপাদন প্রক্রিয়া বেশ জটিল।
সাবমেরিন তারের ইনস্টলেশন যথেষ্ট ব্যয়বহুল একটি কাজ। এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মী দ্বারা কাউকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয় না। বিশেষ জাহাজ ব্যবহার করে এগুলো ইন্সটল করা হয়।
জাহাজগুলিতে তারের স্টোর রয়েছে এবং তা পানির নিচে সেট করার জন্য বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সবার প্রথমে সামুদ্রিক এলাকা পরিদর্শন করা হয়। সমুদ্রের তলদেশে তারের জন্য পথ তৈরি করতে হয়। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় যেন সমুদ্রের প্রতিকূলতা থেকে ক্যাবল রক্ষা পায়।
সাবমেরিন বিদ্যুৎ সিস্টেমের এত বেশি দাম হর পেছনে উচ্চ চাহিদা একটি কারণ। এর ফলে সাবমেরিন বৈদ্যুতিক তারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি তারের দাম বাড়িয়ে তুলছে। সাবমেরিন বৈদ্যুতিক তারের জন্য যেসব উপকরণ ও সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় তা সবসময় অ্যাভেলেবল থাকে না।
তবে অনেকে মনে করেন যে, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে উপকরণের দাম কমানো সম্ভব হতে পারে। সময় ও শ্রমের ব্যয় কমানো যেতে পারে। সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবলের কোন ক্ষতি হলে তা মেরামত করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।