জুমবাংলা ডেস্ক : চীন থেকে শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্বের ১০৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই নতুন করে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভাইরাসটির প্রতিরোধে গত দুই মাসে নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মাস্ক পরা, বেশি বেশি হাত ধোয়া, নাকে মুখে হাত না দেয়া এবং ঠান্ডাজনিত রোগ হতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাসহ অনেক টিপস জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার তারা বলেছেন, সাবান ব্যবহার করে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
এবার বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বেশি বেশি সাবান ব্যবহারের কথা বলেছেন। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় সাবান বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেজন্য বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট দ্য সেন্টারস ফর ডিজিসেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে যে, করোনা ভাইরাস এক ব্যক্তি হতে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হওয়া হতে বিরত রাখতে হলে ঘন ঘন হাত ধোয়া ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ক্যারেন ফ্লেমিং। কয়েকটি সিরিজ টুইটে তিনি দাবি করেছেন যে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাবান একটি ‘আশ্চর্যজনক অস্ত্র’ বলা যায়। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাবানের চেয়ে কার্যকরী আর কিছুই এই মুহূর্তে নেই। আরেকটি টুইটে এই দাবির সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন ক্যারেন। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস মূলত এক ধরনের ‘সুপ্ত’ ভাইরাস। এর বাইরের অংশ ‘লিপিড মেমব্রেন লেয়ার’ দিয়ে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এটি মূলত চর্বিযুক্ত লেয়ার দিয়ে আবৃত। বারবার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া হলে এর চর্বিযুক্ত আবরণ উঠে যাবে ও যার কারণে ভাইরাস নিশ্চিতভাবে মারা যাবে। কতোক্ষণ ধরে হাত ধুতে হবে, সে কথাও জানিয়েছেন ওই বিজ্ঞানী।
টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, কতোক্ষণ ধরে সাবান ঘষতে হবে সে সময়টি এতোই কম যে ঘড়ি ধরে না বলাই বুদ্ধিমানের কাজ। ধরুন কাওকে দুই বার ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’ বলতে যে সময় লাগতে পারে ঠিক ততোটুকু সময় নিয়ে হাতে সাবান ঘষতে হবে। তারপর তা ফেনাযুক্ত করে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রাণঘাতী করোনাকে মেরে ফেলতে এই সময়টুকুই নাকি যথেষ্ট! অর্থাৎ মাত্র ৩ সেকেন্ডেই করোনার জীবাণু মরে সাবাড় হয়ে যাবে! তবে তিনি বলেছেন যে, হাতের কাছে সাবান না পেলে এ ক্ষেত্রে হ্যান্ডওয়াশও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেখানে হাত ধোয়া হয়েছে অর্থাৎ ওয়াশরুমকেও ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া দরকার।
তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ এক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর তা হলো- ছোঁয়াচে এই রোগটি যেনো এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে না সংক্রমিত হতে পারে সেজন্যই আলিঙ্গন এবং কোলাকুলিকে এড়িয়ে চলতে হবে। এক্ষেত্রেও ‘হাই-হ্যালো’ তেই পারস্পরিক সৌজন্য বোধটুকু সারতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। চীনে নতুন করে আরও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক। সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সূত্র : গ্লোবালনিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।