বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি একুশে পদক। এবারই প্রথম ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়েছে। ২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দল আজ এই পুরস্কার গ্রহণ করেছে। কোনো দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে বাংলাদেশের সাফ কন্টিনজেন্ট ছিল ৩২ জনের। আজ ওসমানী মিলনায়তনে ৩২ জনই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এই সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। সাবিনা পরবর্তীতে দর্শক আসনে থাকা দলের অন্য সদস্যদের ডাক দেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ অনুমতিতে পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন দলের অন্য সদস্যরাও মঞ্চে উঠেন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবি তোলেন।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের পদকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য। সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন স্যার নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ ম্যাডাম, বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল স্যারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছেন।’
৫২ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা। তিনি বলেন,‘আজ আমরা এই পদক পেয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করছি। আমরা গৌরাবিন্বত ও অনুপ্রাণিত একুশে পদক পেয়ে। এটা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য মর্যাদার তেমনি নারী অঙ্গনের জন্য অনণ্য উচ্চতার।’ সবার কাছে আরো সহায়তা-দোয়া প্রত্যাশা করে বলেন,‘এই পদক সাবিনাদের জন্য দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা আমাদের দোয়া করবেন। সব সময় সাহস জুগিয়ে এসেছেন। ’
এবার একুশে পদক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী দল বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। পদকপ্রাপ্ত কাজী শহিদুল আলম, ড নিয়াজ জামান তাদের অনুভুতি প্রকাশের সময়ও নারী ফুটবলের প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পদক প্রাপ্ত সকলের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ সব সময় দেখা যায় না। সেই দিক থেকে এবারের অনুষ্ঠান একটু ব্যতিক্রমই ছিল। পদকপ্রাপ্ত সকলেই তাদের অনুভুতি প্রকাশ করেছেন। মরণোত্তর ও অনুপস্থিত ব্যক্তির পক্ষে তাদের নিকটজনরা অনুভুতি প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি পদক প্রদানের সময় চেয়ারের সামনে এসে হস্তান্তর করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।