জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন বহুবিধ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ এবং বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী। জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে চিরদিন তাঁর অবদানকে স্মরণ করবে।’
আজ (১৫) বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে এই বিরল স্মরণসভার আয়োজন করায় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)’র সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্মরণসভার আহবায়ক ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাভার্ড স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. বিমলাংশু দে, জাতীয় অধ্যাপক ড. শায়লা খাতুন, বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও দূরদর্শী নির্দেশনায় দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সুসম্পন্ন হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সুষ্ঠুভাবে সকল দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বার্ষিক বাজেটেও তিনি জনকল্যাণমূলক অসংখ্য প্রস্তাব গ্রহণে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন৷
তিনি বলেন, দারিদ্রের হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নারী জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতার সূচনায়, ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আবদুল মুহিত সার্বক্ষণিক কাজ করে গেছেন। কারন দেশের অর্থনীতিতে অর্ধেক নারী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই যে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে-তিনি এই মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন।
স্পিকার বলেন, পূর্ব পাকিস্তান হতে সিভিল সার্ভিসে সুযোগ লাভ করা এই অনন্য প্রতিভাধর মানুষটি ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকাকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেন। এ কারণে তাঁকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করা হয়। মোট ১১বার এবং টানা ৯বার বাজেট প্রদানকারী সাবেক এই অর্থমন্ত্রী সিলেটকে সর্বদা
ভালোবেসেছেন এবং কর্মময় জীবনের বিভিন্ন অংশে সিলেটের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন।
স্মরণসভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিপিএমসিএ’র সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।