আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র ৪৫ দিন দায়িত্ব পালন শেষেই বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন যুক্তরাজ্যের লিজ ট্রাস। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
তবে যতদিনই দায়িত্ব পালন করুন না কেন, এখন তার গায়ে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তকমা।
ফলে যুক্তরাজ্যের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য যা যা সুবিধা রয়েছে তার সবই পাবেন লিজ ট্রাস।
তিনি এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের (পাবলিক ডিউটির) খরচ মেটাতে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড ( ১ লাখ ২৯ হাজার ডলার) নিতে পারবেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিনই এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তিনি।
বাংলাদেশী অর্থের তুলনায় যা ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার সমান।
যুক্তরাজ্যের সরকারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাবলিক ডিউটি পালনের জন্য যে খরচ করা হবে শুধুমাত্র সেটিই দেওয়া হয়। সব সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ সুবিধার আওতাভুক্ত।
১৯৯০ সালে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের জন্য এ সুবিধা চালু করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা যেন পাবলিক ডিউটি চালিয়ে যেতে পারেন সেজন্য এটি দেওয়া হয়।
২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ডেভিড ক্যামেরুন, গর্ডন ব্রাউন, টনি ব্লেয়ার এবং জন মেজর সবাইকে এই সুবিধার আওতায় অর্থ দেওয়া হয়েছে। তারা খরচের রিসিট দেওয়ার পর তাদের অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লিজ ট্রাসের এ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলীয় লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টেরমার। তিনি বলেছেন, ট্রাসের এ সুবিধা গ্রহণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। সে মাত্র ৪৪ দিন অফিসে ছিল। সে এটির প্রাপ্য না। তার এটি ফিরিয়ে দেওয়া ও না নেওয়া উচিত।
টুইটারে একজন সাধারণ ব্যাক্তি ট্রাসের এ সুবিধা গ্রহণের বিরোধীতা করেছেন। সেই ব্যাক্তি লিখেছেন, যেখানে মানুষ বিল দিতে ও ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে লিজ ট্রাস বছরে ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড পাবে-সারাজীবনের জন্য, ট্যাক্সদাতাদের অর্থে, ছয় সপ্তাহ বিপর্যয়কর প্রধামন্ত্রিত্বের জন্য।
সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।