জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মা ও বোন সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় প্রয়াত মেজর (অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান এর মা ও বোন সন্তান ও ভাই হারানোর বেদনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দ্রুততার সাথে কার্যকর করার দাবি জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের যথাযথ আইন অনুযায়ী দ্রুত বিচার নিশ্চিতকল্পে সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার করেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এই ঘটনায় একই বছরের ৫ আগস্ট তার বোন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার ১৫ আসামির দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাত জনকে খালাসের রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীন।
মামলা থেকে খালাস পাওয়া সাতজন হলেন- এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সিনহা হত্যা ঘটনার পর চার বছর পার হয়ে গেলেও রায় কার্যকর হয়নি এখনও। দোষীদের ফাঁসি কার্যকর চান সিনহার মা ও বোন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।