আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।’ কিছু ইউরোপীয় দেশে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতিসংঘের এক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে জাতিসংঘের সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে নিয়েছে। তাদের পথ ধরে ইউক্রেন যাতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে না-পারে, সেই কারণেই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে রাশিয়াকে।
ল্যাভরভ বলেছেন, ইউরোপের মার্কিন পারমাণবিক বোমা নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। অর্থাৎ এসব বোমা আর ইউরোপে থাকতে পারবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত নিতে হবে। অর্থাৎ এসব বোমা আরও ইউরোপে থাকতে পারবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত নিতে হবে।
তিনি জানান, ইউক্রেনের কাছে এখনো সোভিয়েত প্রযুক্তি আছে। যার মাধ্যমে এ রকম অস্ত্র উৎপাদন করা যাবে। কাজেই এই মারাত্মক ঝুঁকির বাস্তবোচিত জবাব দিতে আমরা ব্যর্থ হতে পারি না। এছাড়া ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নতুন ন্যায্যতা দেওয়ারও চেষ্টা করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার পর এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিল রাশিয়াও
ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া সবসময়ই বিশ্বাস করেছে যে পারমাণবিক যুদ্ধে কেউই শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারে না এবং পারমাণবিক যুদ্ধও হওয়া উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে ১৬ জুন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিবৃতিতে এ নীতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার উদ্যোগে ও সর্বাধিক সক্রিয় অংশগ্রহণে পারমাণবিক শক্তিধর পাঁচ দেশ দেশের নেতারা পারমাণবিক যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা ঠেকানোর জন্য যৌথ বিবৃতি দেন বলে দাবি করেন ল্যাভরভ।
জেনেভায় সম্মেলনে ল্যাভরভ যখন বক্তৃতা দিতে শুরু করেন, তখন ইউক্রেনের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতেরা বের হয়ে যান। ল্যাভরভের বক্তৃতা দেওয়ার সময় তারা হলের বাইরে অবস্থান করেন।
যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যে পুরনো ভিডিও নতুন করে ভাইরাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।