জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার মৃত্যুর খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ২১ মে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত দেবী শেঠি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। পোস্টটিতে আরও দাবি করা হয়, হার্টের জটিলতা নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে পাঁচ দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে তার মারা যাওয়ার তথ্যটি প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ডা. দেবী শেঠির নারায়ানা হাসপাতালে আসাদুজ্জামান খান কামালের মারা যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, যেহেতু আসাদুজ্জামান খান কামাল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন সেহেতু তিনি মারা গেলে স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে শোক বার্তা প্রচার হওয়ার কথা। তবে সংগঠনটির পেজে এমন কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত ২৪ মে প্রচারিত ঘোষণা সংবলিত একটি ফেসবুক পোস্ট পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো বক্তব্য, বিবৃতি বা কর্মসূচি শুধু দলীয় ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, টুইটার, টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রকাশিত হবে এবং এই বক্তব্যই অফিশিয়াল। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল মাধ্যম থেকেও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুর কোনো দাবি করা হয়নি।
সুতরাং, ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেঙ্গালুরুতে মারা গিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা জানায় রিউমর স্ক্যানার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।