জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার সাভারে সুফি সাধক কাজী জাবেরের বাড়িতে ও মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের চাকুলিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০জন আহত হন।
রাত পৌনে ১টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
‘কাজী জাবের আহমেদ’ নামে একটি ফেসবুক আইডি এ ঘটনার একাধিক ফেসবুক লাইভ করা হয়েছে। ভিডিওতে হামলার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ করা হয়, হামলাকারী বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছেন। এতে বর্ণনাকারী নিজেও মাথা ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
ফেসবুকে ‘সুফি আত্মপ্রকাশ’ নামের একটি পেইজ থেকেও মাজারের লোকজনকে লাইভে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহায়তা চাইতে শোনা গেছে। এছাড়া বাড়িটির চারপাশ থেকে বিভিন্নভাবে আক্রমণের জন্য ইট-পাটকেল ছোড়াসহ আগুন দেওয়ারও চিত্র দেখা গেছে।
কাজী জাবেরের পেজ থেকে রাত ১০টার দিকে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত একদল ব্যক্তি তার বাড়ির দিকে হেঁটে আসছেন। একপর্যায়ে বাড়ির সামনে গেটে এসে কাজী জাবেরকে তারা বাইরে বের হতে বলেন। তবে রাত হওয়ায় কাজী জাবের গেট খুলবেন না বলে তাদের জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিক্ষেপ করতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নারীদের চিৎকার শোনা যায়। কাজী জাবের তার লোকজনদের মারধর করা হচ্ছে বলে ভিডিওতে বিবরণ দেন।
একপর্যায়ে বাড়িটির বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। ভিডিওর বিবরণে দাবি করা হয়, চাকুলিয়া মসজিদের ইমাম তৈয়ব খান লোকজনকে উসকে দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটান। কাজী জাবের সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীরের অনুসারী বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজী জাবের দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে আসার পর তিনি ওই এলাকায় বাড়ি করেন। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসেন। এছাড়া ‘সুফী আত্মপ্রকাশ’ নামের একটি পেজ থেকে কাজী জাবের কিছু পোস্ট করেছিলেন। সেগুলো নিয়ে নানান ধরনের বাজে মন্তব্য করা হয়।
কাজী আফসার উদ্দিনের ছেলে গোলাম রসুল বলেন, হামলাকারীরা বাড়ির গেটে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। উপর্যুপরি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করায় মাজারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় মাজার অনুসারী থেকে শুরু করে আশপাশের বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
চাকুলিয়া মসজিদের ইমাম তৈয়ব খান জানান, ‘মাজার পূজার নামে যে সংস্কৃতি গরে উঠেছে সেটি স্থানীয় মুসল্লীরা চান না। এখানে কোনো ইসলাম বহির্ভূত কাজকর্ম চলতে দেওয়া যাবে না।’
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, উভয়পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে।
দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন ড. ইউনূস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।