জুমবাংলা ডেস্ক : পোশাক কারখানা অধ্যুষিত সাভারে দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনেক পোশাক শ্রমিক তাদের পেশাগত পরিচয় গোপন রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আর এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন করোনাভাইরাসের উপসর্গে ভোগা পোশাক শ্রমিকরা।
আজ শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা পোশাক শ্রমিকরা তাদের করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ না করার অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী একাধিক তৈরি পোশাক শ্রমিক জানান, আজ শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে আসার পর তাদের জানানো হয়, এখন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আর নমুনা সংগ্রহ করবে না। এ সময় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, যারা নিজেদের পেশা গোপন করেছেন তাদের নমুনা ঠিকই নেওয়া হয়েছে। আর যারা নিজেদের সঠিক পেশার পরিচয় দিয়েছেন তাদের নমুনা না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষেয় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘হাজার হাজার তৈরি পোশাক শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহের মতো সক্ষমতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নেই।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সাভার শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন পোশাক কারখানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- যাদের মধ্যে কোনো করোনার উপসর্গ নেই, তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে না। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পোশাক শ্রমিকদের নমুনা স্ব-স্ব কারখানা কর্তৃপক্ষ বিজিএমইএ বা বিকেএমইএ’র সঙ্গে সমন্বয় করে নিজস্ব বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। প্রয়োজনে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।’
তবে করোনা নির্ণয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে কবে থেকে বুথ চালু হবে সে বিষয়েও এখনো কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বাইরে থাকা সন্দেহভাজন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা তৈরি পোশাক কারখানায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, সাভার শিল্পাঞ্চলে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমনের মাত্রা বাড়তে থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধের পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা স্বাক্ষরিত ওই চিঠি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠানো হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। সূত্র দৈনিক আমাদের সময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।