জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার সাভারে মানসিক ভারসাম্যহীন জাহাঙ্গীরকে (৩৮) ‘আদর’ নামে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাভারে রেডিও কলোনির ‘আদর’ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে এনাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার লাশ রেখে পালিয়ে যায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।
নিহত জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহের বাসিন্দা মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি সাভারের তালবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বড় ভাইয়ের সঙ্গে ওই এলাকায় হোটেল ব্যবসা করতেন।
‘আদর’ মাদক নিরাময় কেন্দ্রটি সাভারের রেডিও কলোনির উত্তরা মার্কেটে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
নিহতের ভাই মানিক জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় জাহাঙ্গীরকে বৃহস্পতিবার বিকালে রেডিও কলোনির ‘আদর’ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে জাহাঙ্গীরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে রিহ্যাব থেকে জানানো হয় সে ভালো আছে।
এরপর সকালে তাদের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এর পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে ফোন করে দ্রুত এনাম মেডিকেলে যেতে বলা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে গিয়ে জাহাঙ্গীরের লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। তবে ঘটনাস্থলে সেসময় ‘আদর’ মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কাউকে পাওয়া যায়নি।
নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর ভাই মো. সাদেক বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই রিহ্যাবে মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, একদিন আগেই জাহাঙ্গীরকে ওই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে নিহতের ঘাড়, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।