আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধ ও অস্ত্রের নিয়ে গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্য অনুসারে, ইসরাইল ২০২২ সালে সামরিক খাতে দুই হাজার ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। ২০১৮-২২ মেয়াদে সামরিক খাতে দেশটির মাথাপিছু ব্যয় দুই হাজার ৫৩৫ ডলার, যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাথাপিছু সামরিক ব্যয়। এ মেয়াদে বিশ্বে মাথাপিছু সামরিক ব্যয়ের শীর্ষে কাতার।
২০২২ সালে ইসরাইল তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাড়ে চার দশমিক পাঁচ শতাংশ সামরিক বাহিনীকে উৎসর্গ করেছে, যা বিশ্বের ১০তম সর্বোচ্চ শতাংশ।
এক নজরে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী :
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) মিলিটারি ব্যালেন্স ২০২৩ অনুসারে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীতে এক লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ সক্রিয় সামরিক কর্মী রয়েছে। রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে চার লাখ ৬৫ হাজার। আধাসামরিক বাহিনীর সংখ্যা আট হাজার।
ইসরাইলের এক সামরিক মুখপাত্র জানান, গাজায় স্থল অভিযান চালানোর জন্যে বর্তমানে সেখানে তিন লাখ সেনা জড়ো করা হয়েছে।
উন্নত নজরদারি এবং অস্ত্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে ইসরাইলের। এর সামরিক অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে-
পদাতিক শক্তি বা ল্যান্ড পাওয়ার :
ইসরাইলের ট্যাঙ্ক রয়েছে দুই হাজার ২০০টিরও বেশি। কামান রয়েছে ৫৩০টি।
যুদ্ধ বিমান :
ইসরাইলের ৩০৯টি ফাইটার গ্রাউন্ড অ্যাটাক জেটসহ মোট ৩৩০টি যুদ্ধে সক্ষম বিমান রয়েছে। ফাইটার গ্রাউন্ডের মধ্যে ১৯৬টি এফ-১৬ জেট, ৮৩টি এফ-১৫ জেট, ৩০টি এফ-৩৫ জেট। এছাড়া ৪৩টি অ্যাপচিসহ মোট ১৪২টি হেলিকপ্টার রয়েছে।
নৌ শক্তি :
ইসরাইলের নৌ শক্তিতে রয়েছে পাঁচটি সাবমেরিন এবং ৪৩টি পেট্রোল ও কোস্টাল যুদ্ধযান।
ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা :
ইসরাইলের রয়েছে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। এটি হলো একটি মোবাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যা রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প-পরিসরের রকেট প্রতিহতের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে যখন লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধের সময় ইসরাইল শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস ও ইসরাইল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ আয়রন ডোম তৈরি করে। ২০১১ সালে আরো বেশি আধুনিক করা হয় এটিকে। ২০২২ সালে ১৫০ কোটি ডলার খরচে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরাইলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সিস্টেম সরবরাহ করে।
আইআইএসএস-এর মতে, ইসরাইলের আয়রন ডোম সিস্টেম ২০২১ সালে হামাস এবং অন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী থেকে নিক্ষেপ করা ৯০ শতাংশেরও বেশি রকেট আটকে দিয়েছে।
আইআইএসএস অনুসারে ইসরাইলের পারমাণবিক ক্ষমতাও রয়েছে বলে মনে করা হয়। দেশটির কাছে জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম বিমান রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
সূত্র : আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।