আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করার কয়েকদিন না যেতেই পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং জনপ্রিয় টক শো হোস্ট হামিদ মীরকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ টিভি উপস্থাপকের বরখাস্তের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থাগুলো৷ খবর ডয়চে ভেলের।
হামিদ মীর পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার ঠিক কয়েকদিন পর সোমবার তাকে টিভি অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়৷
সাংবাদিক হামিদ মীর মিডিয়া সেন্সর করা এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ এনেছিলেন৷ পাকিস্তান সরকার সাংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা অস্বীকার করে এলেও সমালোচকেরা বলছেন, পাকিস্তানের সাংবাদিকেরা ক্রমশ হুমকির মুখে পড়ছেন৷
স্ত্রী ও মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে হামিদ মীর বিবিসিকে জানিয়েছেন৷ দেশের বৃহত্তম মিডিয়া গ্রুপ জিও নিউজে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক টকশো ‘ক্যাপিটাল টক’ শো উপস্থাপনা করেন হামিদ মীর ৷
তিনি বিবিসিকে জানান, কোনও কারণ না জানিয়েই সোমবার তাকে অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করা হয়, বলা হয় সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জিও নিউজের নামহীন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে, চ্যানেলটিকে সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল৷
এর আগে সেনাবাহিনীর সমালোচক আরেক সাংবাদিক আসাদ আলী তুরকে অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজন তার বাড়িতে হামলা করেন৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হামিদ মীরের বরখাস্তের নিন্দা জানিয়েছে৷ কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের স্টিভেন বাটলার পাকিস্তানে সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন৷
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন মীরের বরখাস্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে, তাকে এখনই কাজে পুনর্বহাল করে তার বিরুদ্ধে হুমকির তদন্ত করা উচিত৷
বরখাস্তের পরে হামিদ মীর এক টুইটে লিখেছেন, আগে আমি দু’বার চাকরি হারিয়েছি৷ হত্যার চেষ্টা হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি৷
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করার পরে ২০১৪ সালে এক বন্দুক হামলায় হামিদ মীর গুরুতর আহত হয়েছিলেন৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।