জুমবাংলা ডেস্ক : হেলিকপ্টারযোগে বাবা-ছেলের বিরোধ মেটাতে এসে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে ঢাকার আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদল। আসক ঢাকা বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ লোকমান হোসেন সাঈদীসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন স্থানীয়ের তোপের মুখেও পড়েন। পূর্বনির্ধারিত গাড়িবহরের সম্মাননাও ভেস্তে যায়।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে সাতটি গাড়ির বহর বিদ্যালয় মাঠে প্রবেশ করে। পাঁচটি গাড়ির সামনে বিশাল ব্যানারে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের নাম লেখা ছিল। একটি গাড়ির সামনে লেখা ছিল ‘সাংবাদিক টিম’, আরেকটিতে ছিল জাতিসংঘের মনোগ্রাম-সংবলিত ব্যানার। এসব গাড়ির প্রায় ৩০ জন যাত্রী ‘দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশ’ পত্রিকা ও আসকের পরিচয়পত্র বহন করছিল।
টিভি চ্যানেলের ব্যানার ব্যবহারের বিষয়টি জানাজানি হলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসানের নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যান। তাঁরা ওই সব টিভি চ্যানেলের কোন কোন সাংবাদিক এসেছেন জানতে চান। সাংবাদিক নেতাদের প্রশ্নে কথিত মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকেরা ভড়কে যান। একপর্যায়ে তাঁরা টিভি চ্যানেলগুলোর ব্যানার খুলে ফেলেন ও ভুল স্বীকার করেন।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টরযোগে এসে বিবাদীর বাড়ি পৌঁছার আগেই ফিরে যান তারা। চুয়াডাঙ্গার আন্দুলবাড়িয়ায় শনিবার এ ঘটনা ঘটে। আসক ফাউন্ডেশনের ঢাকা জোনের সহকারী প্রধানসহ চারজন দুপুরে হেলিকপ্টারে এসে আন্দুলবাড়িয়ায় নামেন। এর পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়ে প্রতিনিধিদল।
একপর্যায়ে তারা বিবাদী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছে। প্রতিনিধিদলের নোটিশ ও আগতদের বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে জবাব দিতে ব্যর্থ হন তারা।
দলনেতা লোকমান হোসেন সাঈদী নিজেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার অধীন আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের ঢাকা বিভাগীয় প্রধান বলে পরিচয় দেন। বাকি তিনজনের মধ্যে কে এম আবদুল মোমেন সিরাজী নিজেকে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডের উপস্থাপক, মাসুম বিল্লাহ অধীন আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের সহকারী প্রধান ও আলতাফ হোসেন অতিরিক্ত বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পরিচয় দেন।
পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে হেলিকপ্টারে উড়ে আসা ও গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে শোডাউনের খরচ কে দিয়েছে, এমন প্রশ্ন করলে লোকমান হোসেন কখনো বলেন তিনি নিজে খরচ বহন করেছেন। একটু পরেই বলেন সদস্যরা দিয়েছেন। এ সময় স্থানীয়রা প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন আগতদের। জনতার তোপের মুখে মানবাধিকার সংস্থার নেতারা স্থান ত্যাগ করে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
শনিবার বক্তব্য জানতে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের ঢাকার কার্যালয়ে বারবার ফোন দেওয়া হলেও কেউ ফোন ধরেননি।
জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামান্য একটি বিষয় নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আইন সহায়তা কেন্দ্রের নামে এখানে আসা ঠিক হয়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও তারা ঠিকঠাকা দিতে পারছিল না। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছিল। পুলিশের তৎপরতায় স্বাভাবিক হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।