পানির নিচে ঘাস ও লতা-পাতা খাচ্ছে গরু। তবে এ গরু আমাদের চেনা গৃহপালিত পশু নয়। আপনি এটিকে ’সামুদ্রিক গরু’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এর নাম ’মানাটি’। অনেকে এটিকে মৎসকন্যা বা সামুদ্রিক দৈত্য হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।
মানাটি হচ্ছে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী তৃণভোজী প্রাণী। এজন্য এটিকে সামুদ্রিক গরু হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আবার এ প্রাণীকে বলা হয় নিরীহ দৈত্য। তৃণভোজী বলে এটিকে সামদ্রিক গরু বা ”SEA COW” বলা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্যারিসের একটি চিড়িয়াখানার জন্য দুই বছর বয়সী ২টি সামুদ্রিক গরুকে আনা হয়েছে।
প্যারিসের চিড়িয়াখানার জন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে ’ওনাই’। প্রজনন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ’মানাটি’ প্রাণীকে চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। এ প্রাণী বর্তমানে বিপদাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। তাই প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ প্রাণীর প্রজনন সিস্টেম বেশ দীর্ঘ হয়ে থাকে। তাপমাত্রার কারণে বন্য অঞ্চলে তাদের বেঁচে থাকা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রাকৃতিক আবাসস্থলে প্রাণীটি তীব্র হুমকির মধ্যে রয়েছে।
সামুদ্রিক গরুর ক্ষেত্রে প্রজনন সিস্টেমসহ সবকিছু বেশি ধীর গতির হয়ে থাকে। সঠিক পরিবেশে না পেলে এটির বৃদ্ধি ভালোভাবে হয় না। ২০ ডিগ্রির নিচে থাকলে এটি নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হতে পারে। ৩০ ডিগ্রির উপরে থাকলে এটির বৃদ্ধি ভালোমতো হয় না।
এদের অভিজনন সক্ষমতা তেমন ভালো নয়। ক্যারিবিয়ান সাগর, মেক্সিকান উপসাগর, আমাজন অববাহিকা, পশ্চিম আফ্রিকার অগভীর জলাশয়ে এ প্রাণীর বসবাস রয়েছে। গভীর উপকূলে এরা সাঁতার কাটে। ঘন্টায় পাঁচ মাইল বেগে প্রাণীটি চলতে পারে। এ প্রাণীটির গড় আয়ু ৪০ বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।