জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের পাঁচ জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার সময় মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর জেলার মুখ্য মহানগর বা বিচারিক হাকিমকে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী শুনানি করেন।
রুলে এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া গত ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরে হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি বিভাগ) সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কুমিল্লা, চাদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ২১ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার একটি মণ্ডপে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে পরে চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস রুল ও নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। রিটে সনাতন সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।