বিনোদন ডেস্ক: পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা হত্যার প্রধান অভিযুক্ত আসামি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই সালমান খানকে হত্যা করার জন্য ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করেছিলেন। এই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার ফার্মহাউজটি নজরদারিতে রেখেছিল এমনকি ফার্মহাউজের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করেছিল, এমনটাই জানা গেছে সম্প্রতি। লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে পাঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পাঞ্জাব এবং দিল্লি পুলিশের সূত্রমতে গ্যাং এর সদস্যরা পানভেলে সালমান খানের ফার্মহাউসটি ফলো করছিল।
তারা এলাকাটি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পানভেলে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল এবং অভিনেতার গতিবিধি সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে সালমানের ফার্মহাউসের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল দুইবার সালমান খানকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে লরেন্স বিষ্ণোই অভিনেতাকে হত্যা করার জন্য ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করেছিল। সিধু মুসে ওয়ালাকে হত্যার আগে এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এই পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন কপিল পণ্ডিত, যিনি সম্প্রতি সিধু মুসে ওয়ালা হত্যা মামলায় দিল্লি এবং পাঞ্জাব পুলিশের স্পেশাল টিম দ্বারা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গ্যাং সদস্যরা জানতেন যে ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলার পর থেকে সালমানের গাড়ি সাধারণত কম গতিতে চালানো হয়। তারা আরো অনুমান করেছিল, যেহেতু সালমানের খামারবাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তাটিতে অনেক গর্ত রয়েছে, অভিনেতার গাড়িটি সেই রাস্তায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে প্রতি ঘন্টায় যেতে পারে। গ্যাং সদস্যরা এই বছরের শুরুতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গোপন আস্তানায় অবস্থান করেছিল এবং তাদের কাছে ছোট অস্ত্র এবং পিস্তলের কার্তুজ ছিল বলেও জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, এপ্রিলে সালমান খান দুইবার খামারবাড়ি পরিদর্শন করেছিলেন। তবে গ্যাং সদস্যরা উভয়বারই আক্রমণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।