বিনোদন ডেস্ক: দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশকিছু চলচ্চিত্র উৎসবে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে দেশ সেরা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। অনেকগুলো পুরস্কারও রয়েছে ছবিটির ঝুলিতে।
কিন্তু নির্মাণের সাড়ে তিন বছরেও সিনেমাটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে পারছেন না তিনি।
২০১৯ সালে ‘শনিবার বিকেল’ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার পর ‘অদৃশ্য’ কারণে সিনেমাটি ব্যান করা হয়। আর এ নিয়ে ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন ‘ডুব’খ্যাত নির্মাতা।
রবিবার (০৭ আগস্ট) সকালে দুই বছর আগে ইস্টার্নকিকে প্রকাশিত ‘শনিবার বিকেল’র রিভিউর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।
ফেসবুকে ফারুকী লেখেন, ‘‘আজকে সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল! এরকম কত সকাল যে আমার গেছে। আমি একটা ছবি বানিয়েছি ‘শনিবার বিকেল’ নামে। যেটা সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে বিভিন্ন পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়ে বললেন, ‘আমরা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি’। তারপর এক অদৃশ্য ইশারায় ছবিটার দ্বিতীয় শো করে তারা। এবং তারপর বলে দিল, ‘ছবি ব্যান’। আমরা আপিল করলাম। আজকে সাড়ে তিন বছর হলো আপিলের। কোনো উত্তর নাই। এবং আমাদেরও বুঝি কিছু বলার নাই। কারণ তারাপদ রায়ের কবিতার মতো আমাদের কখন সর্বনাশ হয়ে গেছে আমরা টেরও পাইনি। ’’
রিভিউটি প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘‘আজকে ‘শনিবার বিকেল’র উপর ইস্টার্নকিকের রিভিউটা হঠাৎ সাজেস্ট করলো আমাকে অ্যালগোরিদম। এটা আমি আগে পড়ি নাই। পড়ে মনে হইলো আমরা ফুল, পাখি, লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ‘ঠিক আছে’! এমন কিছু বানানো যাবে না, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। কিন্তু আমি তো চিরকাল সেইসব গল্পই বলে আসছি, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক আর রাজনীতির গল্পই হোক। আমি তো অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটা কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে?”
‘শনিবার বিকেল’র ইংরেজি নাম ‘স্যাটারডে আফটারনুন’। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এতে রয়েছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশিদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্যালেস্টাইনের ইয়াদ হুরানিসহ অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।