জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগি ইউনিয়নের এক তরুণী প্রতিবেশী এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। দীর্ঘ তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও প্রতিবেদন জমার আগেই সালিসে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় মিমাংসা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত দুদিন ধরে সালিসের পর বুধবার ধার্যকৃত টাকা জমা হয় সালিসকারীদের হাতে। মামলা প্রত্যাহারের পর এই টাকা তরুণীকে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই ইউনিয়নের দরুনবড়বাগ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. আলমগীরের সঙ্গে। এরপর তাকে ‘বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তরুণীর। এক সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে ওই তরুণী।
এ ঘটনায় গত বছরের ৫ অক্টোবরে ওই তরুণী বাদী হয়ে ময়মনসিংহের শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মো. হুমায়ুন কবির সরকার। তদন্ত চালাকালেই অভিযুক্ত আলমগীরের পরিবারের সদস্যরা সালিসের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তরুণীর বাবা জানান, সালিসকারীদের চাপে এছাড়া কোনো পথ খোলা ছিল না।
সালিসের নেতৃত্বদানকারী মো. ইউনুস আলী জানান, ‘সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় রফা হয়েছে। তবে এখনো আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়াা হয়নি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ইন্সপেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ ধরনের মামলা মীমাংসা যোগ্য নয়। গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। কিন্তু মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে না আসায় দেওয়া সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।