জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ প্রদান করতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের দুই পরিচালককে আটকে রেখে নির্যাতন এবং গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেঝে সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হলে গত ২৫ মে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তারা। তবে সরকারের অনুমতি নিয়েই তারা দেশ ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
গত ২৩ মে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি মারফত দুই ভাইকে বাংলাদেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। একই সঙ্গে থাইল্যান্ড সরকারও ঢাকায় অবস্থিত তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে এই দুই ব্যক্তিতে সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। ফলশ্রুতিতে মেডিকেল ভিসায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ২৫ মে সকাল ৯টার কিছু পরে তারা ঢাকা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বলেন, ২৫ মে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা থেকে আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশনের একটি বিশেষ ফ্লাইট ছেড়ে যায়। সরকারিভাবে যথাযথ অনুমোদন নিয়েই ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ে।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, সরকার, দুদক কিংবা আদালত থেকে কোনো ব্যক্তিকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু এই দুই ভাইয়ের ক্ষেত্রে দেশ ত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। বরং তারা সকল অনুমতি নিয়েই বিমানবন্দরে আসেন। তাই তাদের আটকে দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।
এক্সিম ব্যাংক কর্তৃক চলতি মাসের ১৯ মে দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ তারিখে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ প্রদান করতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের দুই পরিচালককে আটকে রেখে নির্যাতন এবং গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালান সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার।
দেশের ইতিহাসে এটাকে ‘অভাবনীয় ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।