জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদ থেকে অনার্স (বিএসসি এজি অনার্স) পরীক্ষায় সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে সিজিপিএ-৪-ই পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন গাইবান্ধার জাকিয়া ইসলাম। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া একটি প্রত্যয়নপত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
জাকিয়া ইসলামের এমন ফলাফলে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার ও শুভাকাঙ্খীরা। জাকিয়া ইসলামের বাড়ী গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্ব থানাপাড়া এলাকায়। বাবা মরহুম খাদেমুল ইসলাম ও মা গুলশান আরা বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ তিনি।
জাকিয়া ইসলামের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে গাইবান্ধা কলেজিয়েট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি।
২০১১ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০১৩ সালে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান জাকিয়া ইসলাম। অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমস্থান অধিকার করেন তিনি।
এরপর ভর্তি হন ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে আট সেমিষ্টারের প্রতিটিতেই সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে সিজিপিএ-৪-ই পেয়েছেন জাকিয়া। চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পরীক্ষার ফলাফলে সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে সিজিপিএ-৪-ই পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে আর কেউ এমন ফলাফল করেননি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মাননা ডীনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। উন্নয়নশীল দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কাজ করা জাপানের NEF (Nagao Natural Environment Foundation) থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তও হন জাকিয়া। বর্তমানে জাকিয়া ইসলাম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই এমএসসিতে অধ্যয়ন করছেন।
জাকিয়া ইসলামের বড় ভাই খালেদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, আমার ছোট বোনের এমন ফলাফল গাইবান্ধার সুনাম আরও বৃদ্ধি করেছে। তার এমন ফলাফলের কথা শুনে প্রশংসা করেছেন অনেকে।
ভবিষ্যতে কৃষিবিদ হয়ে ভেজালমুক্ত খাবারের জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে জাকিয়া ইসলাম বলেন, ফলাফল দেখার পর প্রথমে বাবার কথাই মনে পড়েছে। কারণ বাবা বেঁচে থাকলে তিনিই সবেচেয়ে বেশী খুশি হতেন ৷ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।