ভিএফএক্স বা ভিজুয়াল এফেক্ট। বর্তমান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এ প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। স্পেশাল এফেক্ট সার্ভিসগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে ভিএফএক্স। এ এফেক্ট এর মূল কাজ শুরু হয় সিনেমা শুটিংয়ের পর কম্পিউটার সফটওয়্যার এর মধ্য দিয়ে।
বিমান থেকে মানুষের পড়ে যাওয়া বা বড় ধরনের বিস্ফোরণ এগুলো বাস্তবে তৈরি করা সম্ভব নয়। এ সমস্ত দৃশ্য ভিএফএক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার এ তৈরি করা হয়। তবে এ ধরনের শুটিংয়ের সময় চারপাশের সবুজ বা নীল রঙের পর্দা কেন ব্যবহার করা হয় তা অনেকের কাছে অজানা।
সবুজ রং বেশি ব্যবহার করা হলেও নীল রঙের ব্যবহার লক্ষণীয়। ক্যামেরা সেন্সরে থাকা কালার ফিল্টারের কারনে সবুজ রঙের পর্দা বেশি ব্যবহার করা হয়। ক্যামেরা সেন্সরে ফিল্টারের লেয়ার দেওয়া থাকে। এগুলো তিনটি মৌলিক রং শনাক্ত করতে পারে।
এখানে সবুজ রঙ্গের ফিল্টার থাকে ৫০ শতাংশ। নীল রঙের ফিল্টার থাকে ২৫ শতাংশ। রেড ফিল্টার থাকে ২৫ শতাংশ। সবুজ ফিল্টারের উপস্থিতি সবথেকে বেশি থাকে। কেননা ক্যামেরা সবুজ রঙের ফিল্টার খুব ভালোভাবে সনাক্ত করতে পারে।
ক্যামেরা সেন্সরের এ ধরনের গঠনের পেছনে মানুষের চোখের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের চোখ সবুজ রঙ খুব ভালোভাবে সনাক্ত করতে পারে। তাছাড়া এডিটিং সফটওয়্যারে সবুজ রঙের স্ক্রিন শনাক্ত করা এবং তা রিমুভ করে দেওয়া সহজ হয়।
এর ফলে এডিটিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সবুজ রঙ রিমুভ করে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড বসিয়ে দেওয়া যায়। সবুজ ব্যতীত অন্য রং ব্যবহার করা হলে এ কাজটি কঠিন হয়ে যায়। এজন্য অন্য কালার ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।
নীল স্ক্রিন ব্যবহার করা বেশি ব্যয়বহুল। কেননা এখানে অনেক আলোর দরকার হয়। হ্যারি পটার ও স্পাইডারম্যান এর মত সিনেমায় ব্লু স্ক্রিনের ব্যবহার ছিল। নীল রং ব্যবহার করার একটি সুবিধা হচ্ছে সাবজেক্ট এর কালার এর উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।