বিনোদন ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ১৬ অক্টোবর সিনেমা হল খুলতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে হল মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আজকে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যদি করোনা পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে আছে সেটি যদি কমতে থাকে তাহলে ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে পারি। তবে সেটি প্রধানমন্ত্রী অনুমতিক্রমে। হলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অর্ধেক দর্শক নিয়ে সিনেমা হল চলবে। করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে সিদ্ধান্ত ভিন্নতর হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হল মালিকরা কোনো প্রণোদনা চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা সেভাবে প্রণোদনা চাননি। তবে একসময় আমাদের ১২শ’ সিনেমা হলে ছিল, এখন ২০০-২৫০ আছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বন্ধ সিনেমা হল চালু, হল আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণ করতে চাইলে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য অনুমোদন চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর হল পুনরায় চালু, সংস্কার ও নতুন হল চালু করতে চাইলে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে তহবিল গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে জিয়া পরিবারের সমালোচনা বিষয়ক মন্ত্রী বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। আমি দলে প্রচার সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র হিসাবে কথা বলেছি। এখন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করা হয়, সে মিথ্যাচারের জবাব দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আর রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবেই। আমাদের সমালোচনা অবশ্যই আমাদের প্রতিপক্ষ করতে পারে। তাদের সমালোচনাও আমাদের পক্ষ থেকে হতে পারে। কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বিষদগার করা রাজনৈতিকভাবে শিষ্টাচার বহির্ভূত।
এ সময় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, সিনেমা হলগুলো খুলে দেয়ার ঘোষণার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা গত জুলাই মাস থেকে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম কিভাবে হলগুলো খোলা যায়। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যে প্রস্তাবনা গেছে সেটাতে প্রধানমন্ত্রী সিনেমাহল মালিকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার জন্য যে বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন এটাই আমাদের জন্য সবচাইতে বড় প্রণোদনা।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশে চলচিত্রের বাজার যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে দেশীয় চলচিত্র শক্তিশালী হতে পারে না। সেজন্য বাজার সৃষ্টিতে বিদ্যমান হলগুলোকে সংস্কার, বন্ধ হলগুলোকে পুনরায় চালু করা ও নতুন হল বা সিনেপ্লেক্স তৈরি করে বাজারকে সম্প্রসারণ করা। বাজার সম্প্রসারণ হলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে।
এসময় তথ্য সচিব কামনুর নাহার, চলচিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়া আলাউদ্দিন, সেক্রেটারি সম্রাটসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।