ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছিল ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)। ওই ঘটনায় দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। তারপর ডিএলএস মেথডে কপাল পোড়ে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। বারবাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচটি হেরে সিপিএল থেকে ছিটকে গেছে নাইটরা। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির তারকা অল-রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
বাংলাদেশ সময় বুধবার এই ম্যাচ চলাকালীন গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ছয়টি ফ্লাডলাইটের তিনটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ত্রিনবাগো ১৯.১ ওভারে ১৬৮ রান তুলেছে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে নিকোলাস পুরান। দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে পাঁচ ওভারে বারবাডোজ রয়্যালসের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৬০ রানের। ডেভিড মিলারের বিস্ফোরক ফিফটিতে এই লক্ষ্য তাড়া করে সহজেই জিতে যায় বারবাডোজ।
পরে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক বার্তায় আন্দ্রে রাসেল অভিযোগ করেন, ‘আমি এমন লোক নই যে ইন্টারনেটে এসে গলা ফাটাব। তবে এই বছর সিপিএলে আমার মনে হচ্ছে, আমরা ডাকাতির শিকার হয়েছি। লাইট পরিস্থিতি ছিল ডাকাতি, খেলা শুরুর শেষ সময়ের ঠিক আগে লাইট ফেরা ছিল ডাকাতি এবং এরপর ৩০ বলে ৬০ রান ছিল আরও বড় ডাকাতি।
ত্রিনবাগোর অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড অবশ্য্ স্রেফ হতাশাই প্রকাশ করেছেন, ‘সবাই একমত ছিল যে, ওই তিনটি ফ্লাডলাইট (টাওয়ার) ফিরে আসার আগে খেলা শুরু করলে তা বিপজ্জনক হতে পারত এবং লাইটের কারণে হোক বা যে কোনো কারণে, ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কেউ কেউ চোট পেলে আমাদের প্রত্যেকের জন্য সেটা খারাপ হতো। নিয়মের মধ্যে থেকে ম্যাচ শেষ করার পরিস্থিতি ছিল এবং শেষ পর্যন্ত এখন আমরা এখানে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।