জুমবাংলা ডেস্ক : সিমে রিচার্জ বা কল করা থেকে বিরত থাকার কারণে অনেকেই একটা সময় পর দেখেন তাদের সিমটি আর সচল নেই। এমনকি অনেক সময় অন্য কেউ আপনার সিম ব্যবহার করছে এমনটাও দেখা যায়, যা খুবই বিরক্তিকর।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে বন্ধ সিমের মালিকানা নিয়ে। এই নিয়ম অনুযায়ী, যদি একটি সিম টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন বন্ধ থাকে, তাহলে সেই সিমের মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়।
এক্সচ্যাট: ইলন মাস্কের নতুন অ্যাপে এখন নম্বর ছাড়াই হবে যোগাযোগ
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের কিছু সিম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় না, ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ আপনার সেই সিমটির প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তখন আপনি আবিষ্কার করতে পারেন যে সিমটির মালিকানা ইতিমধ্যেই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সিম কোম্পানির কোনো দায় থাকে না।
FAQs
১. কতদিন বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়?
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, যদি একটি সিম ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন ধরে বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
২. বন্ধ হয়ে যাওয়া সিম আবার পাওয়া যাবে কি?
একবার সিমের মালিকানা বদলে গেলে সেটি আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। তবে কিছু অপারেটর বিশেষ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।
৩. কীভাবে বুঝবো আমার সিম এখনো আমার নামে আছে কিনা?
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) দিয়ে নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অথবা মোবাইল অপারেটরের অ্যাপে চেক করতে পারেন—আপনার নামে কতটি সিম নিবন্ধিত রয়েছে।
৪. বিদেশে থাকলে কী সিম বন্ধ হয়ে যাবে?
হ্যাঁ, যদি রোমিং চালু না থাকে এবং সিম দীর্ঘদিন ব্যবহার না করা হয়, তাহলে সেটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রোমিং চালু রাখলে সিম সচল থাকবে।
৫. বন্ধ হওয়া সিম ব্যবহারে অন্যের দ্বারা কোনও সমস্যা হতে পারে কি?
হ্যাঁ, আপনার পুরনো পরিচিতজনরা সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া আপনার পূর্বের অ্যাকাউন্ট বা নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।