জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জে মামলা করেও স্ত্রী ও সন্তানকে না পাওয়ার ক্ষোভে আদালত চত্বরে এক যুবকের আত্মহত্যার পর সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালতে বিচারকের সামনেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী মো. মোক্তার হোসেন (৩৫)।
পরে বিচারকের নির্দেশে তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার বিকালে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন এপিপি অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন।
মোক্তার হোসেন রায়গঞ্জ উপজেলার মিত্র তেঘরি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামি স্বামী মোক্তার হোসেন। দুপুরে ওই মামলায় তিনি হাজিরা দিতে এসেছিলেন। আদালতে মামলার শুনানি চলাকালে এজলাসে দাঁড়িয়ে হঠাৎ বিষপান করেন তিনি। এ সময় বিচারক তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই আদালতের অপর এপিপি অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ লিটন বলেন, এর আগের তারিখেও তিনি হাজিরা দিতে এলে বিচারক জামিন বাতিলের আদেশ দেয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণেই সিনক্রিয়েট করেন ওই আসামি। পরে আদালত তাকে জামিন দিয়েছিলেন।
সিরাজগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামি হঠাৎ করে কীটনাশক পানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিচারকের নির্দেশে তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামিমুর ইসলাম জানান, বর্তমানে রোগীর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী রাত সাড়ে ৭টার দিকে বলেন, মোক্তার হোসেন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে হবিগঞ্জে মামলা করেও স্ত্রী ও সন্তানকে না পাওয়ার ক্ষোভে আদালত চত্বরেই এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মামলায় হেরে গিয়ে সোমবার দুপুরে তিনি নিজের বুকে ছুরি চালান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবকের নাম হাফিজুর রহমান (৩০)। তিনি শহরের কামড়াপুর গ্রামের বাসিন্দা নূর মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাফিজুর কয়েক বছর আগে বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে বুশরা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। একটা সময় তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বুশরা বাবার বাড়ি চলে যান।
পরে স্ত্রী ও সন্তানকে পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন হাফিজুর। বানিয়াচং দ্বিতীয় আদালতে সোমবার এ মামলায় রায়ের দিন ছিল। এদিন আদালতে হাজির হয়ে বুশরা জানান, তিনি স্বামীর ঘর করবেন না। পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বুশরাকে বাবার জিম্মায় যাওয়ার আদেশ দেন।
রাগে ও ক্ষোভে অভিমানে এজলাস থেকে বেরিয়ে হাফিজুর আদালত চত্বরেই নিজের বুকে ছুরি চালান। এতে তিনি গুরুতর জখম হলে লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট পাঠানোর পথে তার মৃত্যু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।