আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অনুপস্থিতিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলতে নারাজ ভারত। এতে সম্মেলন থেকে সমঝোতায় আসতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বার্তা সংস্থা রর্য়টাস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক স্বাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
সি ভারতের ওপর বিরক্ত বলে এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না- এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে পররষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘না, এখানে ভারতের কিছু করার নেই। চীন ও রাশিয়া কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তাঁরা বলতে পারবে। তবে আপনারা বিষয়টা যেভাবে দেখছেন, আমি সেভাবে দেখছি না।’
চীনের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুপস্থিতি শীর্ষ সম্মেলনের কোন ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে বা কোন ঘোষনা দিতে প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা অলোচনা করেছি তেমনটা বলার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি।’
তবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি। মহামারী, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, ঋণ ও রাজনীতির প্রভাবের কারণে নয়াদিল্লির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ।
বিশ্বের বেশ কিছু সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির জোট জি-২০ এর সম্মেলন হচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন এই সম্মেলনের সফলতা নিয়ে সংশয় রেখে দিয়েছে। দুই দেশের পক্ষে প্রতিনিধিরা থাকলেও রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতির কারণে যুদ্ধ নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের জলবায়ু পরিবর্তন ও অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য ঋণ দিতে বিশ্বব্যাংকসহ বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।