জুমবাংলা ডেস্ক : নিখোঁজের ১১দিন পর সিলেটের বিশ্বনাথের সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমদের (৩৫) মরদেহ স্লোভাকিয়ার স্টরিনা নামের একটি জঙ্গলে পাওয়া গেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর দালালের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ফ্রান্স যাওয়ার পথে স্লোভাকিয়ার ওই জঙ্গল থেকে নিখোঁজ হন তিনি।
নিহত ফরিদ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের কারিকোনা গ্রামের সমশাদ আলী ও সমরুন নেছা দম্পতির বড় ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহর থেকে ফরিদের চাচা আলকাছ আলী আওলাদ ওই দেশে গিয়ে ফরিদের মরদেহ শনাক্ত করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড়িতে থাকা নিহত ফরিদের চাচাতো ভাই হাবিব আহমদ। তিনি জানান, লন্ডনে থাকা তাদের এক আত্মীয় স্লোভাকিয়ার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন দেখে নিখোঁজ ফরিদের চাচা আলকাছ আলীকে জানান। তারপর ই-মেইলের মাধ্যমে ওই দেশের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আলকাছ আলীর বন্ধু লন্ডনের সিআইডি পুলিশ মুন্নি আক্তার। লন্ডনের সিআইডি পুলিশ মুন্নিকে সঙ্গে নিয়ে স্লোভাকিয়ায় গিয়ে সে দেশের পুলিশের সহায়তায় ফরিদের মরদেহ শনাক্ত করে।
এদিকে নিহত ফরিদের মরদেহ শনাক্তের খবরে তার পরিবারের পাশাপাশি কারিকোনা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফরিদের অপর পাঁচ ভাই ও এক বোনসহ পরিবারের সদস্যরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আর ফরিদের বাবা-মা ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ফরিদের স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা সেলিনা বেগম তিন বছর বয়সী ইরা তাসফিয়া নামের একমাত্র মেয়েকে কোলে নিয়ে চোখের পানি ফেলছেন।
চুক্তি ভঙ্গ করে ফরিদকে দালাল মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন নিহত ফরিদের বাবা সমশাদ আলী।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে প্রথমে রাশিয়া যায় ফরিদ। খেলা শেষ হওয়ার মাসখানেক পর সে রাশিয়ায় অবস্থানরত লিটন বড়ুয়ার সঙ্গে সাত লাখ টাকার চুক্তিতে প্রথমে ইউক্রেন যায়। চুক্তিমতে তার পরিবার লিটন বড়ুয়ার সহকর্মী সিলেটের বিয়ানীবাজারের কামাল আহমদের কাছে টাকা জমা দেয়। ইউক্রেনে কয়েক মাস অবস্থান করার পর গত ১ সেপ্টেম্বর চুক্তি অনুযায়ী ওই দালালের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ফ্রান্স যাত্রা করে ফরিদ । কিন্তু তার অপর পাঁচ সঙ্গী ও দালাল ফ্রান্সে গিয়ে পৌঁছালেও যাত্রাপথে স্লোভাকিয়ার জঙ্গলে নিখোঁজ হয় ফরিদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।