জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেট বিভাগের চার জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ভ্যাকসিন (১ম ডোজ) নিয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনিসুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় টিকাদন (ভ্যাকসিন) কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেটসহ সারা দেশে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের চার জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সরকার নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে মোট রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৮২৮ জন,আর ভ্যাকসিন গ্রহন করেছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৮১ জন।
এ পর্যন্ত শুধুমাত্র সিলেট জেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ৮১ হাজার ৯৭৯ জন,ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৩০ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ৩৪ হাজার ৮৫৬ জন, ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩০ হাজার ৮০২ জন, হবিগঞ্জ জেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ৪২ হাজার ৬১৮ জন, ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩৩ হাজার ১৬৪ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ৬০ হাজার ৩৬৬ জন, ভ্যাকসিন নিয়েছিল ৪৫ হাজার ৫৮৫ জন।
ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ ও এক-তৃতীয়াংশ নারী রয়েছেন। প্রতিদিনই সিলেট বিভাগে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে টিকাদান শুরু করার পর থেকে অর্থাৎ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তাহা বৃদ্ধি করে এখন দুই মাস করা হয়েছে, যাহা আগামী ৭ মার্চ এর পরিবর্তে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। সিলেট জেলায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭টি, সুনামগঞ্জে ৯০ হাজার, হবিগঞ্জে ৩৫ হাজার ৪১ এবং মৌলভীবাজার জেলায় ২৮ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা আরও বাড়ানো হবে।
সিলেট বিভাগে ভ্যাকসিন প্রদানে ৪৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে, এর মধ্যে সিলেটে ১৭টি, সুনামগঞ্জে ১৬, হবিগঞ্জে ৮ ও মৌলভীবাজারে ৭টি টিম রয়েছে। বিভাগে সবমিলিয়ে ৪৮ টিমে টিকাদানকারীর সংখ্যা হচ্ছে ৬৮০ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৩২৪ জন, সুনামগঞ্জে ২৫৬ জন, হবিগঞ্জে ৪৮ জন এবং মৌলভীবাজারে ৫২ জন রয়েছেন। আর বিভাগে টিকাদানে মোট ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবী) হিসেবে কাজ করছেন ১৩৬০ জন,এর মধ্যে সিলেটের ৬৪৮ জন, সুনামগঞ্জে ৫১২ জন, হবিগঞ্জে ৯৬ জন এবং মৌলভীবাজারে ১০৪ জন ভলান্টিয়ার রয়েছেন। এ বিভাগের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ১ কোটি ১২ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৪ জন।
সিলেট বিভাগের যেসব কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো সিলেট জেলা ও মহানগরে ৪১টি,এর মধ্যে সিলেট মহানগর এলাকায় রয়েছে ১৩টি,এর মধ্যে ১২টি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১টি রয়েছে পুলিশ লাইন্সে। এছাড়াও সিলেট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রয়েছে আরো ৪টি সেন্টার।এ ছাড়াও জেলার ১২ টি উপজেলায় ২৪ টি কেন্দ্র স্হাপন করা হয়েছে। সিলেট জেলার যেসব উপজেলায় টিকা বুথ স্থাপন করা হয়েছে -দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ টি, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-২ টি, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ টি, গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ২ টি, বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ২টি, জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ টি, কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি, জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ২টি, গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ২টি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ২টি, জালালাবাদ সিএমএইচে-৩ টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে- ৮টি, সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন হাসপাতাল- ১টি, বিজিবি এম আই রুম-১ টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে -৩টি, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- ৩ টি, ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ৩ টি, ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ৩ টি, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি, দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি, শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি, জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি।
হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে-৮ টি, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-২ টি, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-২ টি, কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-২ টি, মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ২ টি, লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- বুথ: ২ টি, বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-২ টি, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি।
মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে- ৮টি, রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি, জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে-৩ টি, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ৩ টি, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩ টি কেন্দ্রে করোনার টিকাদান কার্যক্রম চলছে, প্রয়োজনো এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
