জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বেসরকারিভাবে ৯০ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সবকটিতে তিনি বিজয়ী হয়েছে। নৌকা প্রতীকে হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার পর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এ ফল ঘোষণা করেন। এ উপনির্বাচনে আরও দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
তারা হলেন-বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) ৫১৩৫ এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব) ৬৪০।
বিজয়ী হাবিবুর রহমান হাবিবকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক।
গত ১১ মার্চ আওয়ামী লীগের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনায় মারা গেলে সিলেট-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন পেছানোর পর শনিবার ভোটের চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। গত ২৯ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোটের তারিখ ঘোষণার করা হয়। প্রথমে ৮ জুন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলেও করোনার জন্য তা হয়নি। এরপর ১৪ ও ২৮ জুলাই ভোটের দিন চূড়ান্ত হলেও উপনির্বাচন হয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এজন্য তাকে বহিষ্কারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে বিএনপি। ফলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিপুল প্রচারের বিপরীতে শফি চৌধুরীকে লড়াই করতে হয় একাই। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া উপনির্বাচনে প্রার্থী হলেও দীর্ঘ দুই মাসের প্রচারে ভোটাররা তাকে দেখেননি।
দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সকাল ১০টার দিকে রেবতি রমন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি জাপার প্রার্থী আতিক। তিনি জানান, আঙুলের ছাপ না মেলায় তাকে দেড়-দুই ঘণ্টা পরে আবার যেতে বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিকেলে একই কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেন লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আতিক।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন রিটার্নিং অফিসার সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। দুপুরে দক্ষিণ সুরমা রেবতি রমন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ৩০-৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়তে পারে। তিনি বলেন, আমরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি। কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।