জুমবাংলা ডেস্ক: যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ফোরে অবস্থিত মোবাইল মার্কেটটি দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল মার্কেট হিসেবে পরিচিত। এই শপিং মলের সার্বিক নিরাপত্তা বিশ্বমানের হলেও সম্প্রতি একটি মোবাইল দোকানের কর্মচারী কর্তৃক দিনের বেলায় শপিং মল খোলা থাকাকালীন চুরির কারণে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এক দোকান মালিক।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, মো: ফয়সাল হোসেন নামের একজন দোকান মালিক ৪সি-০২৬বি নম্বর দোকানে মোবাইল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি নাহিদ হোসেন নামের এক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেন।
পরবর্তীতে নাহিদ হোসেন তার অপর দুই বন্ধু অনিক হাসান এবং নাদিম মোহাম্মদ সাগরের সহযোগিতায় আগে থেকে নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে দোকানের সকল দামি মোবাইল ব্যাগে ভরে আবার দোকান বন্ধ করে তালা মেরে চলে যায়। দোকান মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করার পর তালা বদলে না ফেলার কারণে এই চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।
তিনি আরও মনে করেন, তার দোকানের ভেতরের সিসিটিভি বন্ধ থাকায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে চুরির ঘটনা জানতে পারেন নি। তার মতে, যেহেতু পুরো ঘটনাটি শপিং মলে কর্মচারীদের সকালে দোকান খোলার সময়েই ঘটেছে তাই যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষের চৌকষ সিসিটিভি টিম বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখেছেন। কারণ, প্রতিদিন এসময়ই সকল কর্মচারী দোকান খুলেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক পরবর্তীতে মামলা রুজু করলে তদন্তের ভার পড়ে ডিবি পুলিশের ওপর। তারা যমুনা ফিউচার পার্কের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রযুক্তির সহায়তায় অত্যন্ত দ্রুততার সাথে চোরদেরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন এবং ডিবি পুলিশের সদস্যদের অসাধারণ দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তার কারণে ৫৫টি চুরি যাওয়া মোবাইলের মধ্যে উদ্ধার হয় পয়ঁতাল্লিশটি যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
পুরো বিষয়টি ২৫ জুলাই ডিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ও পরবর্তীতে ইস্যু করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।