জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মূল আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে বগুড়া সদর থানা পুলিশ কাহালু উপজেলা থেকে আল আমিনকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
আল আমিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, আল আমিনের নাম মামলার এজাহারে নেই। তবে তাকবীরকে কোপানোর দিন সাতমাথা এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, আল আমিন চাপাতি হাতে তার ওপর হামলা করেছেন। আল আমিন মামলার মূল আসামি সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আল আমিন কাহালু উপজেলার সাঁকোহালি গ্রামের আক্কাসী আলীর ছেলে। তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওসির দাবি, ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন আল আমিন। তাকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে কাহালু উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, রউফের সঙ্গে তিনি নিজেও চাপাতি হাতে তাকবীরের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তাকবীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ। বিবৃতিতে তাকবীর ইসলাম খানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের সাতমাথায় দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় এই প্রতিবাদ সভা ডেকেছেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
তাকবীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবদুর রউফকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তুচ্ছ ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় ছাত্রলীগের একাংশ তাকবীর ইসলামের ওপর হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাকবীর। মারা যাওয়ার আগে তাকবীর এক ভিডিও চিত্রে ‘রউফ’ নামের একজন তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে বর্ণনা দেন। তার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।