জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সীমান্তে অবৈধপথে গরু পাচার করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মানিক মিয়া নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনি রৌমারী থানায় এ মামলা করেন। এদিকে, মানিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে গরু পাচার করতে গেলে বিএসএফের গুলিতে মানিক মিয়া নিহত হন। তিনি রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে একদল গরু ব্যবসায়ী মোল্লারচর সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারতীয় গরু পাচার করছিলেন। এসময় টহলরত কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে পরপর চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। এতে মানিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এসময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা পুলিশ ও বিজিবির মামলার ভয়ে মরদেহ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের নিহত মানিকের খালাতো ভাই আব্দুল মোতালেবের বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রোববার বিকেলে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে সোমবার রৌমারী থানায় বিএসএফের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। তিনি বলেন, সীমান্তে কেবল আমার ছেলে নয়, অনেককেই ওরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার বলেন, ভারতীয় সীমান্তে মানিক মিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে বাম পাঁজরে একটি ছোট ফুটো এবং বুকের ডানদিকে আরেকটি ফুটো ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, সীমান্তে গুলির ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলির ঘটনা স্বীকার করেছে। আমরা সীমান্ত হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।
তিনি বলেন, নিহতের বাবা বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যদি মামলা করে থাকে তবে আমি আমার হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।