সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি, নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই

জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি

জাতীয় জরুরি অবস্থা জারিআন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি। আর একটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত। এগুলো সই করার পরে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত। খবর বিবিসির।

কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে তিনি জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পান। এই বিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। তবে শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই এই নীতি পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ মার্কিন সংবিধানেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে।

ট্রাম্পের রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি ফের কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।

‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। শপথ গ্রহণের দিনটিকে (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।

প্রথম দিনেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কী ইঙ্গিত দিল ট্রাম্প?