জুমবাংলা ডেস্ক : মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান সহিংসতায় সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর এলাকায় ‘ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব বলেন।
সীমান্তে চলমান সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এ ব্যাপারে বিজিবি কাজ করছে। আমরা বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। আমাদের কাছে আইনানুগভাবে যে সহযোগিতা পাবে আমরা বিজিবিকে সেটা দেব।
নৌ-তদন্ত কেন্দ্র প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী, এখানে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এ কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে এ এলাকার পাশাপাশি নৌ-এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমাদের সদস্যরা কাজ করবেন। এতে করে বন্দরের কার্যক্রমের গতিশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। পর্যায়ক্রমে কর্ণফুলীর রাঙাদিয়া, চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় আরও তিনটি নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। দুই লাখ সদস্যের এ বিশাল বাহিনী সরকারের বিধিবিধান মেনে আমরা শৃঙ্খলা বজায় রাখি। শৃঙ্খলার বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করি। আমাদের সদস্যরা যথাযতভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ঈর্ষণীয় একটা পর্যায়ে অবস্থান করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিন, বন্দর ডিসি শাকিলা শারমিন, নৌ-পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সুপার (এসপি) আ ফ ম নিজাম উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী, এসি আরিফ হোসেন, ওসি জহির হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানায়। পরে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙাদিয়া, নগরীর চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গায় দুটি করে চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।