জুমবাংলা ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, সরকার এ খাতে বহু বছর ভর্তুকি দিয়েছে। সাশ্রয়ের জন্য এখন আমরা কিছুটা লোডশেডিং দিচ্ছি। তবে আমরা আশাবাদী, শীত এলে চাহিদা কমে গেলে লোডশেডিং ঠিক হয়ে যাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অক্সফাম আয়োজিত ‘বাংলাদেশের এনডিসি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ‘বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। কোভিড পরিস্থিতিতেও দুই বছর আমরা টিকে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ এমন যুদ্ধাবস্থা তৈরি হবে কে ভেবেছিল? আমরা তো বিদ্যুতে খুব ভালো ছিলাম। কিন্তু বিশ্ববাজারের প্রভাব তো অস্বীকার করার উপায় নেই। বিদ্যুৎ উংপাদনের জন্য আমাদের জ্বালানি আমদানি করতে হয়।’ শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্যাসের স্থানীয় সমস্যা সমাধানে আমরা একটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।’
এসময় তিনি আরো জানান, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যাপক বিনিয়োগ। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রযুক্তি হস্তান্তরে দায়িত্বশীল অবদান রাখতে হবে। বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সরকার সব সময় উৎসাহিত করে।’ তিনি বলেন, ‘স্রেডার মাধ্যমে নাবায়নযোগ্য জ্বালানির দক্ষ ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক মডেল দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সমাধান আনতে হবে। অন্য দেশের মডেল অনুসরণ করে সমাধান পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ হাইড্রোজেন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের পলিসি নিয়েও কাজ করছে। পরিবহন বিদ্যুৎ চলা শুরু হলে কার্বন নিঃসরণ অনেক কমবে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা কাজ করছি। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ এবং মেরিন রিসোর্স নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।