স্পোর্টস ডেস্ক: নাটকের এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। তিনি টিকটকে প্রথম নিজের পরিচিতি ছড়িয়েছিলেন। পরে নাটকে নাম লেখান। একপর্যায়ে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন তিনি। জেবাকে নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। মূলত অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণেই তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার থেকে তিনি নিষিদ্ধ। এমন সিদ্ধান্তে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী জেবা। জানিয়েছেন তার মতামত।
জেবা জানান, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা।
জেবা বলেন, ‘দোদুল সাহেব মাঝরাতে আমাকে ফোন দিতেন। তিনি বলতেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে একঘরে থাকেন না। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখার জন্যই আলাদা থাকেন। তাই আমাকে ফোন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি আমাকে বলেন, আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাও, তোমাকে সুপারস্টার বানিয়ে দেব। আমার কাছে এসবের প্রমাণ আছে।’
হোয়াটসঅ্যাপে ফোন ও টেক্সট দিতেন বলে জানান তিনি।
জেবা আরও বলেন, শুধু দোদুলই নয়, নাটকের অনেক ডিরেক্টর আমাকে বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে ডাকেন। তারা আমার সঙ্গে টাইমপাস করতে চান, আমাকে নাটকের কাজ দিতে চান।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অনেক ডিরেক্টর আমাকে নানা ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলেন। আসলে এসব বিষয় নিয়ে আমি কখনই কথা বলিনি কিন্তু এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি। অনেক পরিচালক আমাকে বাজে ইঙ্গিত দিয়েছেন, হোটেল রেস্টুরেন্টে ডেকেছেন।’
জেবা বলেন, ‘আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে আমার পেছনে কোনো সুগার ড্যাডি আছে। আমার কোনো সুগার ড্যাডি নেই। আমি যদি নিষিদ্ধ হয়ে যাই। তাতে আমার কোনো কিছু যায় আসে না। মিডিয়াতেই করে খেতে হবে এমনটা নয়। আমার অপশন আছে। আমি ফার্মেসিতে পড়াশোনা করছি, ফার্মাসিস্ট হব। আমার নাটক করতেই হবে, এমন নয়। মিডিয়া ছাড়তে হলে ছেড়ে দেব।’
সংসার ছেড়েছে এক যুগ আগে, আজও স্বামীর পদবি ধরে রেখেছেন জয়া! কেন?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।