জুমবাংলা ডেস্ক : স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিয়েছেন দ্বিতীয় দফায় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পাওয়া এই বিসিবি কর্মকর্তা। তিনি বলেছিলেন, ভারপ্রাপ্ত কোচ হতে চান না। তিনি চান দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া। কিন্তু সুজনের এই আশা পূরণ না হলেও বিসিবি বিষয়টিকে ইতবাচকভাবেই দেখছে।
সুজনকে ভারপ্রাপ্ত কোচ করে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দল পাঠানো হয়েছে। প্রধান কোচের দায়িত্ব পেলে বিসিবির ডিরেক্টরের পদ ছেড়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন সুজন। কিন্তু বিসিবি সবুজ সংকেত দেয়নি। তার কোচ হবার আগ্রহ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অবশ্যই এটি খুবই ইতিবাচক দিক। আমাদের দেশেও ভালো মানের কোচ রয়েছে। জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের ভালো সুযোগ তার জন্য। বিদেশি কোচদের সাথে কাজ করার কারণে তারা আগ্রহ প্রকাশ করে। এটিই খুবই ভালো সুযোগ।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কোচ হিসেবে যোগদানের আবেদন করার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার। মেয়াদ শেষ হলেও আবেদন করেননি খালেদ মাহমুদ সুজন। আবেদন না করার কারণ ব্যাখ্যা করে সুজন সেদিন বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়ি জীবনে আমি সব সময়ই অধিনায়কের নির্দেশ মেনেছি। এখনো মানি। অধিনায়কের দিক থেকে সাড়া পাইনি বলে আর আবেদন করিনি।’
খেলোয়াড়ি জীবনে সুজনের অনেক অধিনায়ক থাকলেও এখন তার ‘অধিনায়ক’ হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। নাজমুলের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাননি বলেই প্রধান কোচ হতে আবেদন করেননি তিনি। এদিকে আজ সংবাদ সম্মেলনে নিজামউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেছেন, প্রধান কোচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। অনেক হাই প্রোফাইল কোচেরা বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।