দুই জেনারেলের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত সুদানের জন্য একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি বয়ে নিয়ে এসেছে। ইতিহাস বলে যে, সুদানের রাজনীতি এর আগেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। ২০২১ সালে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সুদানে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ এর মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যেই যথেষ্ট অস্ত্র মজুদ রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই সুদানের দক্ষিণ এবং উত্তর অংশের মধ্যে যথেষ্ট বিভাজন ছিল।
এ বিভাজন থেকেই পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ সুদান নামে আরেকটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ২০১১ সালে এ নতুন রাষ্ট্রের উৎপত্তি ঘটে বিশ্ব মানচিত্রে। দেশটি স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বেই অনেক সংঘাত এবং দ্বন্দ্বের সাক্ষী হয়। এসব সংঘাতের মাঝখানে পড়ে জনগণকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।
ওই সময় গৃহযুদ্ধের কারণে পাঁচ লাখ মানুষকে নিজেদের প্রাণ দিতে হয়। একই সময় উত্তর এবং দক্ষিণ সুদানের মানুষের মধ্যে লড়াই চলছিল। একদিকে সরকারের অনুগত বাহিনী এবং অন্যদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
দ্বন্দ্ব এবং সংঘাত অধিক পরিমাণে থাকায় দেশটিতে অনেক আগ থেকেই গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা দেখা যায়নি। ১৯৫৮ সালে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। ফলে গণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটে। ওই সময় কর্তৃতবাদী সরকার নানা ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের সামনে নিয়ে আসতে থাকে।
১৯৮৩ সালে দেশটিকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং শরিআহ আইন প্রবর্তিত করা হয়েছিল। এ সমস্ত বিষয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। এ যুদ্ধকে দুই বাহিনীর অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। অথচ এই দুই জেনারেলের মধ্যে একটা সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল। সুদান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। মিশর সহ ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রের নজর রয়েছে দেশটির পরিস্থিতির উপর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।